এক দশকে অর্থনীতির বড় পরিবর্তন এসেছে

এক দশকে অর্থনীতির বড় পরিবর্তন এসেছে

এক দশকে অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। দেশের অর্থনীতির পরিসর বাড়ছে। দ্রুত বাড়ছে প্রবৃদ্ধি। বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। তৈরি পোশাক খাত, কর্মসংস্থান ও রেমিট্যান্স সব মিলিয়ে গত এক দশকে বড় পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।

উন্নয়নের এসব সূচকের ওপর ভর করে গড়ে উঠবে টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। মুজিব শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বণিক বার্তা ও সিটি ব্যাংকের আয়োজনে দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ২০২০’ এ এমন প্রত্যাশার কথা জানান বক্তারা।

৫ মার্চ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ সম্মেলনে ছিল দুটি অধিবেশন। ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি: ঈর্ষণীয় প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন’ শীর্ষক উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্যসহ সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে, যেখানে কর্মসংস্থানে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের অবদান অনেক কম। কিন্তু অর্থনীতিতে তারা সবার ওপরে। তাদের অন্য খাত আছে। আমরাও সেদিকে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটা মিটিংয়ে বলেন, ‘চাকরির জন্য কষ্ট করতে হবে না। সবাই চাকরি পাবেন। চাকরির জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে; সেখানে দু তিন কোটি মানুষের চাকরি হবে।’ আমরা কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। এজন্য বিভিন্ন খাতে যত ধরনের প্রণোদনা দেয়া দরকার, সবই আমরা দিয়ে যাচ্ছি।

জাতির পিতার দেখানো পথে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে জানিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, একটা সময় ক্ষুধা আর দারিদ্র্য ছিল আমাদের নিত্যদিনের চলার পথের সঙ্গী। সব দিক থেকেই দেশের মানুষের ওপর ছিল বঞ্চনা। এ জাতিকে বঞ্চনার গ্লানি থেকে মুক্ত করার জন্য, এ দেশের মানুষকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত করার জন্য জাতির পিতার আগমন। আমরা সৌভাগ্যবান। তিনি শুধু স্বাধীনতাই এনে দেননি, একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার জন্য যা যা দরকার ছিল, তার সবই শুরু করে দিয়ে যান। জাতির পিতার রেখে যাওয়া কাজ তারই দেখানো পথে আমাদের এগিয়ে নিতে হবে।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে ব্যাংক খাত, পুঁজিবাজার ও সঞ্চয়পত্র প্রসঙ্গও। সঞ্চয়পত্র নিয়ে তিনি বলেন, সঞ্চয় স্কিমগুলো ছিল এ দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য। আমরা দেখলাম, যাদের জন্য স্কিমগুলো আরম্ভ করা হলো, তারা সেগুলোর সঙ্গে তেমনভাবে সম্পৃক্ত নন। অন্যদিকে একটা শ্রেণী কোটি কোটি টাকার সঞ্চয় স্কিম কেনা শুরু করল। আমরা তো এসব চাইনি। আমরা নিয়মের মধ্যে থেকেই সঞ্চয় স্কিমগুলো প্রান্তিক মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিতে চাই। এজন্য আমরা পুরো ব্যবস্থাপনাটি অটোমেশনের উদ্যোগ নিয়েছি।

পুঁজিবাজার সম্পর্কে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমার কাজটি হচ্ছে এ দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করা, শক্তিশালী করা। আমি যদি আমার কাজটা ঠিকমতো করতে পারি, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই এর একটা ইতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারে এসে পড়বে। আমি সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি। আমার কাজ হচ্ছে সামগ্রিকভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি গতিধারাকে শক্তিশালী রাখা। ব্যাংক খাত নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য হলো, ব্যাংক খাতে বর্তমানে নন পারফর্মিং লোন বেশি। এটার একটা বড় কারণ মাত্রাতিরিক্ত সুদ। এজন্য আমরা সুদহারকে একটা কাঠামোয় আনতে কাজ করছি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশের যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটা উদ্যোক্তা, বেসরকারি খাত ও সর্বোপরি মানুষের কারণে। এর পেছনে ছিল সরকারের সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা। ২০০৮ সালে আমাদের বাজেটের আকার ছিল ৯৫ হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ এটা হয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা। এটা তো আর এমনি এমনি হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টা, সরকারের সদিচ্ছার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে।

বিদ্যুৎ খাতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী রেন্টাল পাওয়ারের উদ্যোগ নিলেন। তখন সবাই এটার বিরোধিতা করেছিলেন। চার পাঁচ বছর সেই রেন্টাল পাওয়ার দিয়েই আমরা চলেছি। প্রত্যেকটা অর্থনীতির মূল ফ্যাক্টর কিন্তু এনার্জি। রেন্টাল পাওয়ার দিয়ে শুরু করে আমরা এনার্জি খাতে উন্নতি করেছি।

সালমান এফ রহমান আরো বলেন, বলা হচ্ছে, দেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে, তা অসম। আমার কথা হলো, উন্নত দেশ হোক আর উন্নয়নশীল দেশ হোক, এ অসমতা কিন্তু সবখানেই আছে। অসমতা উন্নয়নের একটি বেসিক ফাংশন। অসমতা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব না। এখানে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে। এ জনগোষ্ঠীর ওপর যেন এ অসমতার প্রভাব না পড়ে। আমরা এরই মধ্যে সেটি করতে সক্ষম হয়েছি।

প্রান্তিক পর্যায়ে উন্নতির ছোঁয়া লেগেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমি যখন সংসদ সদস্য নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম, তখন প্রত্যেকটি ভোটিং সেন্টারে গিয়ে উঠান বৈঠক করেছি। আমার ভোটিং সেন্টারগুলো ইউনিয়ন লেভেলে। এ সময় আমি নির্বাচনী এলাকায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কাছে গিয়েছি।

আমি দেখেছি, ইউনিয়ন পর্যায়ে বিউটি পার্লার আছে, জিম আছে। সবচেয়ে আশ্বর্য হয়েছি এটা দেখে যে সেখানে গৃহপালিত পশু পাখির দোকান আছে, সেখানে পাখি বিক্রি করছে, ছোট মাছ অ্যাকুয়ারিয়ামে বিক্রি করছে। ইউনিয়ন লেভেলে যেহেতু এসব দোকান হয়েছে, তার মানে সেখানেও কিন্তু এগুলোর চাহিদা আছে। চাহিদা না থাকলে কেউ তো এমনি এমনি গিয়ে সেখানে দোকান খুলবে না।

এ আয়োজনের অন্যতম আলোচক ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আজকের এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্ম, জীবন ও দর্শনের সঙ্গে অগ্রসরমান বংলাদেশের একটি সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে।

বাংলাদেশের উন্নয়নের ৫০ বছরের সন্নিকটে গর্ব করার মতো অনেক অর্জন আমাদের সামনে দৃশ্যমান। সামগ্রিকভাবে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পেছনে বৈচিত্র্যপূর্ণ কৃষি ব্যবস্থা ও শিল্প উভয়ের অবদান আছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নও চোখে পড়ার মতো। খুব গুরুত্ব দিয়ে যদি বলতে চাই, মানুষের জীবনযাত্রায় অনেক পরিবর্তন এসেছে, যাতে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় আমরা বেশ এগিয়ে যেতে পেরেছি।

বিভিন্ন সূচকে প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে আছে জানিয়ে রেহমান সোবহান বলেন, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক অমর্ত্য সেন মাঝে মাঝে আমাদের অগ্রগতির কিছু দিক নিয়ে কথা বলেন। সেখানে নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য সূচক যেমন থাকে, তেমনি থাকে গড় আয়ু বেড়ে যাওয়াসহ নানা বিষয়। এগুলোর অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য ভারতের চেয়েও ভালো। এমনকি আমরা যাদের থেকে স্বাধীনতা লাভ করেছি, সেই পাকিস্তানের চেয়ে আমাদের অর্থনৈতিক উন্নতি ঈর্ষণীয়। বর্তমান যে পাকিস্তান আছে, তারা আমাদের চেয়ে অর্থনৈতিক গতি ত্বরান্বিত করতে অক্ষম। মাথাপিছু আয়ে আমাদের ও তাদের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে।

কিন্তু অনেক সুযোগ থাকার পরও আমরা কেন ভিয়েতনামের মতো দেশ থেকেও পিছিয়ে যাচ্ছি, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। এজন্য তিনি কিছু প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, আমাদের ব্যাংকিং ব্যবস্থা শক্তিশালী করার দিকে নজর দিতে হবে। বিদেশী বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন সাধারণ মানুষকে ঘিরে আবর্তিত হতেন এবং এভাবে তিনি বাংলাদেশকে স্বাধীন হিসেবে আবিষ্কার করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন সামাজিক ন্যায় বিচার, সহযোগিতা ও সহমর্মিতায় বিশ্বাসী।

অনুষ্ঠানের আরেক বক্তা সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্ক আছে ঠিক। কিন্তু সবসময় প্রবৃদ্ধি বাড়লেই উন্নয়ন হবে, সেটা বলা যাবে না। এর সঙ্গে আরো বেশকিছু সূচকের দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। আমাদের অর্থনীতির আকাশে সূর্যের রশ্মি খুঁজলে দেখতে পাব আমাদের প্রবৃদ্ধি। সেটা নিঃসন্দেহে ত্বরান্বিত হয়েছে।

২০১৯ সালে জিডিপি এশিয়ার সব দেশ থেকে বেশি। এটা আমাদের জন্য ভালো একটা খবর। আরেকটা রশ্মি যেটা দেখতে পাই, সেটা হলো রেমিট্যান্স। যদিও এটা সময়ে সময়ে ওঠানামা করে। গত জুলাই থেকে জানুয়ারি সময়ে এটার প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ২১ শতাংশ। তবে জানুয়ারি ২০২০ সালে এটা মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

বাজার ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ প্রয়োজন বলে মনে করেন এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি প্রবাসে শ্রমিক পাঠানোর আগে তাদের দক্ষতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেয়া এবং বিভিন্ন খাতে দেশীয় দক্ষ লোক নিয়োগ দিয়ে দেশ থেকে বাইরে যে অর্থ চলে যাচ্ছে, সেটা নিয়ন্ত্রণে রাখার পরামর্শ দেন। রফতানি পণ্যের সংখ্যা বাড়িয়ে দু একটি পণ্যের ওপর থেকে নির্ভশীলতা কামানো গেলে সেটা দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ভালো ফল বয়ে আনবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা। আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দিন দিন দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। দক্ষতার অভাব, দুর্নীতি, ভালো লোকদের দায়িত্বশীল পদে না রাখাসহ নানা দুর্বলতা রয়েছে আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয়। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ব্যাংকিং ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নীতি থাকতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই একটা ভালো অর্থনীতির লক্ষণ হতে পারে না।

ব্যাংকের সুদহার ৯ ও ৬ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটা একটা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে বেঁধে দেয়া যেতে পারত। অর্থাৎ ৯ থেকে ১২ ১৩ পর্যন্ত করা যেতে পারত, কিংবা ৬ থেকে ৯ পর্যন্ত করা যেতে পারত। কিন্তু তা ৯ ও ৬ এর মধ্যে বেঁধে দেয়াটা বাস্তবসম্মত হয়নি। মুক্তবাজার অর্থনীতি এভাবে চলতে পারে না।

সাবেক তত্ত্বাধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, অর্থনৈতিক মুক্তির প্রাসঙ্গিকতা একটা দেশের বিবর্তনের প্রতিটা পদক্ষেপে থাকতে পারে। সেগুলো আমাদের খুঁজে দেখার প্রয়োজন আছে। বাংলাদেশকে নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে সবসময় ‘লং ভিউ’ নেয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায়। এটার প্রয়োজনও আছে। তবে শুধু এটার মধ্যে আবদ্ধ থাকলে আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলো সেভাবে ধরা দেয় না।

আসন্ন এ চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে কাজ করতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে চিন্তাভাবনা অনেক আগে শুরু হলেও কৌশলগত চিন্তায় দুর্বলতা আছে কিনা সেটা ভেবে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

ড. হোসেন জিল্লুর আরো বলেন, এখনো আমরা সেই তৈরি পোশাক খাত ও রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভর করে আছি। এক্ষেত্রে আমাদের প্রবৃদ্ধির নতুন খাত কী হতে পারে, তা নিয়ে ভাবতে হবে। কৃষি বা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবৃদ্ধির নতুন চালক হতে গেলে সেই ধরনের নীতিসহায়তা দিতে হবে। চার পাঁচ বছরের মধ্যে প্রবৃদ্ধির নতুন চালক খুঁজে না পেলে সেটা আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বড় ধরনের ধাক্কা দিতে পারে।

বণিক বার্তা সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ আয়োজক সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মাসরুর আরেফিন।

এ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, এক্সিম ব্যাংক ও বিকাশ। বিশেষ সহযোগিতায় ছিল লংকাবাংলা ফিন্যান্স।

#এসকেএস/বিবি/০৫ ০৩ ২০২০


অর্থনীতি ডেস্ক, বিবি
Published at: বৃহঃ, মার্চ ৫, ২০২০ ৩:৫৫ অপরাহ্ন
Share with others:

Recent Posts

Recently published articles!