এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল খেলা হবে শুধু ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। ১৫ জানুয়ারি শুরু হয়ে টুর্নামেন্ট শেষ হবে ২৫ জানুয়ারি। আজ দুপুরে বাফুফে ও টুর্নামেন্টের পৃষ্ঠপোষকের স্বত্ত্ব কিনে নেওয়া কে স্পোর্টসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয় এসব তথ্য।
ঢাকার বাইরে খেলা না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামে টুর্নামেন্ট। এজন্য এবারের পুরো আয়োজন আমরা বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেই করতে চাই।’ গতবারের মতো এবারও ইংল্যান্ড থেকে তৈরি করা হবে সোনার প্রলেপযুক্ত চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। ট্রফি ঢাকায় আসবে আগামী ৮ জানুয়ারি। ফাইনালে মাঠে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের সঙ্গে টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার কথা লাওস, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া ও কিরগিজস্তান দলের। আগামী ৪ জানুয়ারি রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে হবে টুর্নামেন্টের ড্র ও লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠান। আজ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি সই করেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও স্থানীয় আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী এবং কে স্পোর্টসের প্রধান নির্বাহী ফাহাদ এম এ করিম।
এবারের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের অন্যতম আকর্ষন হতে পারেন ফিফার কিংবদন্তি ফুটবলারেরা। গত এপ্রিলে অনূর্ধ্ব-১৯ বঙ্গমাতা আন্তর্জাতিক ফুটবলের প্রচারণার অংশ হিসেবে ঢাকায় এসেছিলেন কলম্বিয়ার দুই বিশ্বকাপ তারকা জেসিকা হার্তাদো ও ক্যাথরিন ফ্যাবিওয়ালা। ওই দুই তারকাকে এনেছিল কে স্পোর্টস। এবার তারা দিতে পারে আরও বড় চমক।
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের কথাতেই মিলল চমকের আভাস, ‘আমরা ব্যাপারটা নিয়ে ফিফার সঙ্গে আলোচনা করেছি। ইউরোপে এখন বড়দিনের বন্ধ চলছে। তাই ফিফার কার্যালয়ও বন্ধ। ফিফায় কিংবদন্তি ফুটবলারদের একটি শাখা আছে। আমরা তাদের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখছি।
বঙ্গমাতার মতো বঙ্গবন্ধু টুর্নামেন্টেও ফুটবলারদের উৎসাহ দিতে আমরা কিংবদন্তিদের চেয়েছি। নূন্যতম একজন কিংবদন্তিকে পেতে পারি আমরা।’ তাঁর আশা, আগামী ৪–৫ জানুয়ারির মধ্যে ফিফার সাড়া পাওয়া যাবে।
ফিফার এই কিংবদন্তির তালিকায় আছেন ব্রাজিলের সাবেক বিশ্বকাপ তারকা রোনালদিনহো, ইতালির পাওলো মালদিনি, হল্যান্ডের রুদ খুলিত, মার্কো ফন বাস্তেন ও আইভরি কোস্টের দিদিয়ের দ্রগবার মতো ফুটবলাররা।
#এসএস/বিবি/২৯-১২-২০১৯
Comments (Total 0)