১০ দিন ব্যাংকে গেলেই একমাসের বেতন
সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সময় যেসব ব্যাংক কর্মকর্তা কর্মচারী সশরীরে অফিস করছেন তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ১০ দিন অফিসে গেলেই ব্যাংক কর্মীরা ভাতা হিসেবে পাবেন বাড়তি এক মাসের বেতন।
১২ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত এক সার্কুলার জারি করেছে। দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কিছুসংখ্যক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন ব্যাংকিং খাতকে সচল রাখতে যারা তাদের জীবন ও পরিবারকে ঝুঁকিতে রেখেও সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের দায়িত্ব পালনের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারী যারা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন ব্যাংকে সশরীরে গিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করেছেন বা করছেন, তারা বিশেষ প্রণোদনা ভাতা প্রাপ্য হবেন।
সাধারণ ছুটিকালীন কর্মকর্তা কর্মচারীরা কমপক্ষে ১০ কার্যদিবস সশরীরে ব্যাংকে কর্মরত থাকলে তা পূর্ণমাস হিসেবে গণ্য হবে। তবে ১০ কার্যদিবসের কম সশরীরে ব্যাংকে কর্মরত থাকলে সেক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে উক্ত ভাতা প্রাপ্য হবেন।
ব্যাংকের স্থায়ী, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিক সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এই সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত হবেন। কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের স্ব স্ব মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ মাসিক বিশেষ প্রণোদনা ভাতা হিসেবে প্রাপ্য হবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেসব অস্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মূল বেতন আলাদাভাবে নির্ধারিত নেই, তারা মাসিক মোট বেতন ভাতার ৬৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা ভাতা হিসেবে প্রাপ্য হবেন। তবে সবক্ষেত্রেই এ বিশেষ প্রণোদনা ভাতার পরিমাণ মাসিক সর্বনিম্ন ৩০ হাজার টাকা এবং সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা হবে।
সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার তারিখ থেকে মাস গণনা শুরু হবে। প্রতি ৩০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুনরায় নতুন মাস গণনা শুরু হবে। এ নির্দেশনা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদকাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে রোববার (১২ এপ্রিল) ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, বেসরকারি ব্যাংকের কর্মীরা কর্মরত অবস্থায় অসুস্থতা বোধ করলে বা করোনা সংক্রমিত হলে তার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক।
#এসকেএস/বিবি/১৩ ০৪ ২০২০
Share with others:
Recent Posts
Recently published articles!
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ব্যবসা ডেস্ক, বিবি
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ভূমি ডেস্ক, বিবি
-
প্রবাস ডেস্ক, বিবি