চালের বাজারে অস্থিরতা...
মাছে ভাতে বাঙালি। ভাত আসলে আমাদের প্রধান খাবার। ১৭ কোটি মানুষের বেশিরভাগ মানুষই এখনো ভাত পেলেই সন্তুষ্ট থাকে। নিম্নবিত্ত মানুষ চাল জোগাড় করতে প্রতিদিন লড়াই করে। সেই চালের দাম যদি বেড়ে যায় তাহলে তারা বিপদে পড়ে যায়।
সম্প্রতি চালের দাম অনেক বেড়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দরিদ্র মানুষ যে চাল খায়, সেই মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ১ ২টা বেড়ে গেছে। এর কারণে দরিদ্র জনগোষ্ঠী নিশ্চয়ই বিপদে পড়ে গেছে। অন্যদিকে আমাদের দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি হিসেবের মধ্য দিয়ে চলে। তাদের শখের একটা বিষয় হচ্ছে সরু চালের ভাত খাওয়া। সেই সরু চালের দাম নাকি কেজিপ্রতি ৮ ১০ টাকা বেড়ে গেছে। এটা কিন্তু মধ্যবিত্তের সংসারের বাজেটে বিরাট ধাক্কা দিবে। কারণ তারা মাসের খরচ একটা কঠিন হিসাবের মাধ্যমে সামলায়। আবার করোনাভাইরাসের কারণে অনেকেরই আয় কমে গেছে। তাই চালের খরচ বৃদ্ধি, তাদের জীবন আরো কঠিন করে দিবে।
সরকার থেকে প্রায়ই খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার কথা বলা হয়। এটা আসলেই সত্যি খাদ্যশস্য উৎপাদন নানা কারণে বেড়েছে। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম এখনো নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এ বিষয়ে ব্যবস্থাপনায় যথেষ্ট ঘাটতি রয়ে গেছে। এ বিষয়ের সমাধানে সরকারকে কার্যকর কৌশল বের করতে হবে।
সম্প্রতি আরো একটা খবর বিস্ময়কর, সেটা হলো দেশে ধান উৎপাদনে বাম্পার ফলনের খবর বহুল প্রচারিত। এই কারণে দেশের কৃষকরা ন্যায্য দাম পায় না বেশিরভাগ সময়। এ অবস্থায় চলতি বছর সরকার ভারত থেকে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চালের দাম কমাতে এটা করা হয়েছে। প্রয়োজনে তাই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি দেশের কৃষকদের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে হবে। অন্যদিকে ভোক্তারাও যাতে সহনীয় দামে চাল কিনতে পারে, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকে। হঠাৎ চালের দাম বৃদ্ধি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না কখনোই।
#তমহ/বিবি/২১ ০১ ২০২১
Share with others:
Recent Posts
Recently published articles!
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ব্যবসা ডেস্ক, বিবি
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ভূমি ডেস্ক, বিবি
-
প্রবাস ডেস্ক, বিবি