করোনা মোকাবিলায় সমন্বিত রোডম্যাপ প্রয়োজন: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী

করোনা মোকাবিলায় সমন্বিত রোডম্যাপ প্রয়োজন: জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রী

মহামারি কোভিড ১৯ মোকাবিলায় সুসমন্বিত রোডম্যাপ করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য ইরা অব কোভিড ১৯ এবং বিয়ন্ড’ শীর্ষক ‘হাই লেভেল ইভেন্টে এ আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আগে রেকর্ড করা এ ভিডিওবার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড ১৯ সংকট মোকাবিলায় আমাদের সুসমন্বিত রোডম্যাপ প্রয়োজন।

তিনি বলেন, এই সংকট উত্তরণে ২০৩০ এজেন্ডা, প্যারিস চুক্তি, আদিস আবাবা অ্যাকশন এজেন্ডা আমাদের ব্লুপ্রিন্ট হতে পারে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘকে অবশ্যই অনুঘটকের ভূমিকা রাখতে হবে।

সংকট উত্তরণে ৬টি সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রথমত, জি ৭, জি ২০, ওইসিডি কান্ট্রিজ, এমডিবিএস ও আইএফআইএস এর উচিত আর্থিক প্রণোদনা বাড়ানো, অর্থছাড় দেওয়া এবং ত্রাণের ব্যবস্থা করা। উন্নত অর্থনীতিগুলোকে অবশ্যই তাদের প্রতিশ্রুত শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ ওডিএ পূরণ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আমাদের বেশি বেসরকারি অর্থ ও বিনিয়োগ আনা প্রয়োজন। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে আমাদের অবশ্যই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সুযোগ নিতে হবে।

তৃতীয়ত, কোভিড পরবর্তী চাকরির বাজারের সময় ও অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তার মাধ্যমে আমাদের রেমিট্যান্স প্রবাহের নিম্ন প্রবণতা ঠেকিয়ে বিপরীতমুখী করার জন্য আমাদের সঠিক নীতিমালা ও পদক্ষেপ প্রয়োজন।

চতুর্থত, উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য উন্নত অর্থনীতিগুলিকে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত বাজার অ্যাক্সেস, প্রযুক্তি সহায়তা এবং আরও অ্যাক্সেসযোগ্য অর্থায়নের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পূরণ করতে হবে।

পঞ্চম, এই মহামারির কারণে স্বল্পোন্নতের তালিকায় উঠে আসা দেশগুলোর পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে কমপক্ষে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নতুন আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবস্থা থাকতে হবে।

এবং ৬ষ্ঠ, ক্লাইমেট অ্যাকশন ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে অর্থায়নের জন্য আরও জোর প্রচেষ্টা করা প্রয়োজন।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড ১৯ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রচণ্ড রকম প্রভাব ফেলে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ১৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করি, যা আমাদের জিডিপির ৪ দশমিক ০৩ শতাংশের সমান। এই মহামারির সময় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়ানো হয়েছে, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, শিল্পী ও সাংবাদিকসহ ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

হাই লেভেল এই ইভেন্টে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হলনেস জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস।

#এসকেএস/বিবি/২৯ ০৯ ২০২০


জাতীয় ডেস্ক, বিবি
Published at: সোম, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০ ১১:৫৪ অপরাহ্ন
Share with others:
ad

Recent Posts

Recently published articles!