লোডশেডিংয়ে কমবে রপ্তানি?
লোডশেডিংয়ের কারণে রপ্তানিখাতের উৎপাদন নেমে এসেছে অর্ধেকে। আর ইস্পাত ও সিমেন্ট শিল্পে উৎপাদন কমেছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অব্যাহত লোডশেডিংয়ের কারণে ঢাকা ও আশেপাশের শিল্পাঞ্চলে কর্মঘণ্টাও কমে গেছে অর্ধেক।
পাওয়ার সেল মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন বলছেন, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ ও বিশেষ এলাকার গুরুত্ব বিবেচনায় দিনে ৫ থেকে ৭শ মেগাওয়াট লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ছে অন্যান্য এলাকা।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, টঙ্গী, গাজীপুর, ময়মনসিংহ, নরসিংদী এলাকায় রয়েছে রপ্তানিমুখী হাজার হাজার শিল্প কারখানা। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এসব এলাকায় বেড়েছে লোডশেডিংয়ের মাত্রা। দিনে কর্মঘণ্টার ৪ থেকে ৫ ঘণ্টাই থাকছে না বিদ্যুৎ। কারখানাগুলো ডিজেলচালিত জেনারেটরের মাধ্যমে চালু রাখা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন খরচ বাড়ছে, অন্যদিকে কমছে উৎপাদন।
বিদ্যুতের অভাবে নষ্ট হচ্ছে কাঁচামাল ও মুল্যবান যন্ত্রপাতি। এ অবস্থায় তৈরি পোশাক রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
কারখানা মালিকদের দাবি, নিটিং, ডাইং কারখানায় হঠাৎ লোডশেডিংয়ে পণ্যের বুনন ও রং নষ্ট হয়। সেগুলো আর রপ্তানি করা যায়না। জেনারেটরে সুইংয়ের কাজ চালু রাখা গেলেও বন্ধ হয়ে যায় ফিনিশিংয়ের কাজ।
উল্লেখ্য যে, বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট। গরমের সময় বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ১৬ হাজার মেগাওয়াটের মতো। এরমধ্যে ১৪ হাজার মেগাওয়াট সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকারি হিসেবে, লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ১৫০০ মেগাওয়াটের বেশি।
#তমহ/বিবি/০৯জুন২০২৩
Share with others:
Recent Posts
Recently published articles!
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ব্যবসা ডেস্ক, বিবি
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ভূমি ডেস্ক, বিবি
-
প্রবাস ডেস্ক, বিবি