আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্ত ৪০ ভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যুক্ত ৪০ ভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে

কোভিড ১৯ মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত এমন ৪০ শতাংশই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) পরিচালিত এক জরিপে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার ডিসিসিআই এবং ফ্রেডরিক ন্যুমেন ফাউন্ডেশন ফর ফ্রিডম (এফএনএফ বাংলাদেশ) যৌথভাবে আয়োজিত ‘কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাপ্লাইচেইন শক্তিশালীকরণ ’ শীর্ষক অনলাইন ভিত্তিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরেন ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ।

ওয়েবিনারের স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদ জানান, দেশের কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাত জিডিপিতে ৩২ শতাংশ অবদান রাখছে এবং প্রায় দুই কোটি ৪৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে, যা মোট কর্মসংস্থানের ৪০ শতাংশ। তিনি বলেন, কোভিড ১৯ মহামারির কারণে সারা বিশ্বে মানুষের চাহিদা হ্রাস পাওয়ায় লকডাউন চলাকালীন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেইন ব্যাহত হওয়ায় আমাদের সিএমএসএমই খাতের উদ্যোক্তারা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। তিনি জানান, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ‘২০২০ এসএমই কম্পিটিটিভনেস আউটলুক’র তথ্য মতে, লকডাউনের কারণে ২০২০ সালে বৈশ্বিক রপ্তানিতে ১২৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হবে, যার প্রভাব পড়বে আমাদের উদ্যোক্তাদের ওপর।

ডিসিসিআই পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, এমন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলোর ৪০ শতাংশই মনে করছেন, কোভিড মহামারির কারণে তাদের ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এছাড়াও তিনি বর্তমান অবস্থা বিবেচনায়, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সাপ্লাই চেইনে সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোরারোপ করেন।

এফএনএফ বাংলাদেশ এর আবাসিক প্রতিনিধি ড. নাজমুল হোসেন বলেন, কোভিড ১৯ মহামারি পরবর্তী সময়কালে স্থানীয় ও বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা টিকিয়ে রাখার জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন।

কনসালটেন্ট এবং কর্পোরেট ট্রেইনার শংকর কুমার রয় অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সিএমএসএমই খাতের অবদান অনস্বীকার্য। তবে দক্ষ জনবল, পুরোনো প্রযুক্তি, প্রয়োজনীয় তথ্যের অপর্যাপ্ততা, অর্থায়নের সীমাবদ্ধতা এবং শুল্ক বৈষম্যের কারণে এখাতের উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

তিনি জানান, ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের ব্যবস্থাপনায় সাপ্লাইচেইনের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে, পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে মুনাফা বৃদ্ধি করা সম্ভব।

আয়োজিত কর্মশালায় প্রশ্নোত্তর পর্ব সঞ্চালনা করেন ডিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আফসারুল আরিফিনি।

#এসকেএস/বিবি/২৫ ০৯ ২০২০


অর্থনীতি ডেস্ক, বিবি
Published at: বৃহঃ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০ ৭:২১ অপরাহ্ন
Share with others:

Recent Posts

Recently published articles!