শিক্ষার্থীদের জন্য ইউজিসির ঋণ!
করোনাভাইরাসের কারণে অনলাইনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। যারা প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের অভাবে এতে অংশ নিতে পারছে না, তাদের জন্য আছে সুখবর। দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কিনতে সুদবিহীন ঋণ দিবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসির তথ্যমতে, দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ আট হাজার করে টাকা দেয়া হবে। এ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০ ২০২১ অর্থ বছরের বার্ষিক বরাদ্দের বিপরীতে অগ্রিম হিসেবে সংশ্লিষ্ট খাতে সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হবে।
এ বিষয়ে ইউজিসি ৪ নভেম্বর বুধবার একটি অনলাইন সভা করে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ ওয়েবিনারে সভাপতি ছিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। আরো অংশ নেন ইউজিসির সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের প্রমুখ। সভায় কার্যপত্র উপস্থাপন করেন কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের।
সভায় ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, এই উদ্যোগের মাধ্যমে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হবে। এটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্যোগে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অনলাইন শিক্ষায় আরও বেশি মনোযোগী হবে। তারা শিক্ষা জীবনের ক্ষতিও পুষিয়ে নিতে পারবে। ইউজিসি চেয়ারম্যান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণকে দ্রুততম সময়ে সফটলোন অনুমোদন কমিটি গঠন করে স্মার্টফোন ক্রয়ে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের সুদবিহীন ঋণ দিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরাধ জানান।
সভায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কর্তৃক গঠিত ‘সফটলোন অনুমোদন কমিটির সুপারিশের আলোকে অনধিক ৮,০০০ টাকা শিক্ষার্থীকে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৩১ জানুয়ারির ২০২১ এর মধ্যে বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হয়। শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র আসল অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর কিংবা অধ্যয়নকালীন ৪টি সমান কিস্তিতে বা এককালীন তারা এই ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।
করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতির কারণে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে ৯ আগস্ট দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্মার্টফোন কিনতে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীর তালিকা চেয়ে উপাচার্যদের নিকট পত্র দেয় ইউজিসি। এরই প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ যাচাই বাছাই করে সর্বমোট ৪১,৫০১ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর তালিকা কমিশনে প্রেরণ করে।
তালিকায় আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ সংখ্যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮,৫৫৬ জন (১৯.৮৯ শতাংশ) এবংসর্বনিম্ন সংখ্যা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭ জন (৩.৩৬ শতাংশ)।
উল্লেখ্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই ঋণ সুবিধার বাইরে রয়েছে।
বিবি/টিএমএইচ/০৭ ১১ ২০২০
Share with others:
Recent Posts
Recently published articles!
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ব্যবসা ডেস্ক, বিবি
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ভূমি ডেস্ক, বিবি
-
প্রবাস ডেস্ক, বিবি