সরকার পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। কিন্তু এবারও তা মানা হয়নি কোথাও। দামের তালিকা রয়ে গেছে শুধু কাগজেই। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা কম দামে চামড়া সংগ্রহ করলেও তা নিতেও অনিহা দেখা গেছে আড়তদারদের মধ্যে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি চামড়া পাচারের আশঙ্কা করছে ব্যবসায়ীরা।
যশোরে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে তেমন আগ্রহ নেই মৌসুমি ব্যবসায়ীদের। দাম কম থাকায় আগ্রহ কমেছে মাদ্রাসাগুলোরও। এতে অনেক চামড়া অবিক্রিত থেকে গেছে। বিক্রি না হলে মাটিতে পুতে ফেলার কথা জানিয়েছেন অনেকেই।
রাজশাহীতে অনেককেই মাদ্রাসায় দান করেছেন পশুর চামড়া। এসব চামড়া আড়তে বিক্রি জন্য নেয়া হলেও তেম আগ্রহ নেই আড়তদারদের। মূলধন সংকটে চামড়া সংগ্রহ করতে পারছেন না তারা। নাটোরের চামড়া বাজারেও দাম কম। বড় গরুর ৫০০-৭০০, আর ছোট গরু চামড়া ৫০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনছেন আড়তদাররা।
খুলনায় স্থায়ী দোকান না থাকায় রাস্তায় চামড়া কিনছেন ব্যবসায়ীরা। তবে কাঙ্খিত দাম না পাওয়ার অভিযোগ মৌসুমী ব্যবসায়ী ও মাদ্রাসাগুলোর। এ অবস্থায় ভারতে পাচারের আশঙ্কা করছেন অনেকে।
তবে বগুড়া বাজার কিছুটা ভালো। বড় গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা আর খাসির চামড়া ৭০ টাকায়। তবে গাভী ও বকরির চামড়া কিনছেন না কেউ।
এছাড়া লক্ষ্মীপুর, বেনাপোলসহ বিভিন্ন জেলায় চামড়ার দাম নিয়ে হতাশ মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বিপুল সংখ্য চামড়া জমা হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এতিমখানা ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
#তমহ/বিবি/২২-০৭-২০২১
Comments (Total 0)