আমরা ভালো কিছুর অপেক্ষায় আছি…​​​​​​​

আমরা ভালো কিছুর অপেক্ষায় আছি…​​​​​​​

পৃথিবীজুড়ে করোনাভাইরাস হতাশা নিয়ে এসেছে। স্থবির হয়ে পড়েছে সবকিছু। সবাই আশায় আছে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বের হবে। সুস্থ করার সরাসরি কোনো ওষুধ বের হবে। অন্যদের মতো আমিও এ ধরনের খবর আগ্রহ নিয়ে লক্ষ্য করছি।

উন্নত বিশ্বে এগুলো নিয়ে অনেক কাজ চলছে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশেও কিন্তু কিছু কাজ হচ্ছে। সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে ডাক্তার, বিজ্ঞানীরা নানাভাবে চেষ্টা করছেন। যার শুরুটা ছিলো গণস্বাস্থ্যের উদ্যোগে অনুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন শীলের র‌্যাপিড টেস্টিং কিট উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে। এটার ব্যবহার হলো কী হলো না, এটা আলাদা ব্যাপার। উদ্ভাবন যে হয়েছে এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় আমাদের ডাক্তাররাও নানাভাবে চেষ্টা করছেন। ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগে ভালো ফল পাচ্ছেন চট্টগ্রামের চিকিৎসকেরা। এই কারণেই নাকি বন্দরনগরীতে মৃত্যুহার তুলনামূলক কম। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কার্যকর ওষুধ রেমডেসিভির।

খোদ আমেরিকায় এর সংকট তৈরি হয়েছে। এ ওষুধ খুব দ্রুত বাজারে আনতে কাজ করছে আমাদের দেশের কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি। ওষুধ উৎপাদনে যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এটা কিন্তু তার প্রমাণ।

করোনাভাইরাসের জিন রহস্য উন্মোচনেও কাজ করছে আমাদের দেশের রিসার্চ প্রতিষ্ঠানগুলো। এরমধ্যে সফল হয়েছে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন। জিনোম সিকোয়েন্স বের করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাইরাসটির গতি প্রকৃতি নির্ণয় করা সম্ভব হবে। এতে ভাইরাস নির্মূলের পথ পাওয়া যাবে।

করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে ঢাকা মেডিকেল। করোনাজয়ীদের রক্তের প্লাজমা অসুস্থদের দেওয়ার এ চিকিৎসা প্রক্রিয়া আগেই শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ নানা দেশ। এটাকেও আমি আমাদের চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের মহৎ এক প্রচেষ্টা বলবো।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে ভ্যাকসিন। এমন ভ্যাকসিন আসবে, পৃথিবীর সবাই আছে তার অপেক্ষায়। উন্নত বিশ্বে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে। তার ফলাফল পেতে আরো কিছুদিন সময় লাগবে। অবাক করার ব্যাপার হলো ভ্যাকসিন বিষয়ে বাংলাদেশও কাজ করছে। এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে প্রস্তুতি নিয়েছে আমাদের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর। ভ্যাকসিন বাজারে এলেই যাতে আমাদের দেশে এটা চলে আসে সেই ব্যবস্থা করছে তারা।

সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে চিকিৎসাক্ষেত্র নিয়ে আমি কোনো বিশেষজ্ঞ মত দিতে পারবো না। দেয়া ঠিকও মনে করি না। কিন্তু মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য দেখে বুঝি, করোনা প্রতিরোধে নানারকম চেষ্টা আছে আমাদের দেশেও। সেই চেষ্টার সুফল সবার কাছে কীভাবে যাবে, সেটা অন্য আলোচনা। কিন্তু যারা চেষ্টা করছে, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে আমার কোনো আপত্তি নেই। সবার মঙ্গল ও সুস্থতা কামনা করছি।

লেখক: হেড অব পাবলিক রিলেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া ডিভিশন, সিটি ব্যাংক


মত ডেস্ক, বিবি
Published at: শুক্র, মে ১৫, ২০২০ ১২:৫৫ অপরাহ্ন
Category: মত
Share with others:
ad

Recent Posts

Recently published articles!