পোশাকখাতে নারী শ্রমিকদের ‘সারথী’

পোশাকখাতে নারী শ্রমিকদের ‘সারথী’

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকখাতে প্রায় অর্ধকোটি মানুষ জড়িত। এর প্রায় অর্ধেকই নারী শ্রমিক। এদের অনেকে এখনো বেতন পায় হাতে। এর মানে তারা এখনো ব্যাংকিং সেক্টরে অন্তর্ভূক্ত নয়। এ ধরনের নারী শ্রমিকদের ব্যাংকিং খাতে যুক্ত করতে কাজ করছে সারথী। সম্প্রতি ‘সারথী প্রোগ্রেস থ্রু ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন: নলেজ শেয়ারিং ইভেন্ট’ শীর্ষক একটি ওয়েব সেমিনারে এসব তথ্য তুলে ধরেন বক্তারা।

এতে আলোচ্য বিষয় ছিলো, ‘বাংলাদেশের তৈরিপোশাক শিল্প শ্রমিকদের জন্য অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা’। ১৯ অক্টোবর সোমবার এই আলোচনায় অংশ নেন বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএর পরিচালক মোহাম্মাদ আব্দুল মোমেন, ব্যাংক এশিয়ার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চ্যানেল ব্যাংকিংয়ের প্রধান সরদার আখতার হামিদ, সিটি ব্যাংকের হেড অব বিজনেস (এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগ) মোহাম্মদ মাহবুব সোবহান, রেনেসাঁ গ্রুপের (মিলেনিয়াম টেক্সটাইল লিমিটেড) মহাব্যবস্থাপক (মানবসম্পদ বিভাগ) সৈয়দা শায়লা আশরাফ ও লিন্ডেক্স এইচ. কের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সাস্টেইনিবিলিটি ব্যবস্থাপক (বাংলাদেশ লিয়াজোঁ অফিস) কাজী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। এই ওয়েবিনার পরিচালনা করেন সারথীর টিম লিডার সৈয়দা ইশরাত ফাতেমা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মেটলাইফ ফাউন্ডেশন ও সুইসকন্ট্যাক্টের উদ্যোগে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ একটি প্রকল্প হচ্ছে ‘সারথী’। এর শুরু ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে। শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরে। সারথীর মাধ্যমে পোশাক শ্রমিক, বিশেষ করে নারী কর্মীদের ডিজিটাল বেতন ব্যবস্থা নিশ্চিতে কাজ করা হচ্ছে। এভাবে ব্যাংকিং সেবার আওতাভুক্ত হবে পোশাকখাতের নারী শ্রমিকরা। তাই সারথীর প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের সঙ্গে কাজ করছে বাণিজ্যিক ব্যাংক ও তৈরিপোশাক কারখানাও।

ওয়েবিনারে জানানো হয়, সারথী প্রকল্পের মাধ্যম এরইমধ্যে ৬৬ হাজার তৈরিপোশাক শ্রমিকদের বেতন অ্যাকাউন্ট নিশ্চিত করা হয়েছে। সেবা নিশ্চিতে ৬৪টি বিকল্প ডেলিভারি চ্যানেল চালু করা হয়েছে। যার মধ্যে আছে এটিএম, এজেন্ট পয়েন্টস ও মিনি ব্রাঞ্চ। অন্যদিকে সারথী ১৭ হাজার পোষাক শ্রমিককে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও ব্যাংকিং সেবা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

সারথীর টিম লিডার সৈয়দা ইশরাত ফাতেমা বলেন, পোশাক শ্রমিকদের ব্যাংকিং কার্যক্রমের সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে তাদের আর্থিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। ওয়েবিনারের মাধ্যমে এ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ও অর্জন তুলে ধরা হলো বলে ওয়েবিনারে জানান তিনি।

টিএমএইচ/বিবি/২৩ ১০ ২০২০


এনজিও ডেস্ক, বিবি
Published at: শুক্র, অক্টোবর ২৩, ২০২০ ১:৩৩ অপরাহ্ন
Share with others:
ad

Recent Posts

Recently published articles!