বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি: শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্ন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বাঙালি নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় সংগ্রাম ছিলো অর্থনৈতিক মুক্তির। এর মাধ্যমে তিনি দেশের উন্নয়ন করে গরিব দুখী মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর অবধি প্রতিটি বক্তব্য বিবৃতিতেই সেই কথা বলেছেন।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যেই জাতির পিতা বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) প্রতিষ্ঠা করেন। যাকে তিনি দ্বিতীয় বিপ্লব হিসেবে অভিহিত করেন। কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। ১৫ আগস্ট তাকে সপরিবারে হত্যা করে ঘাতকেরা।
দেশ গড়ার জন্য তাই শুধু তিনটি বছর সময় পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তবু নিয়েছিলেন বহুমাত্রিক পরিকল্পনা। অনেক ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সময়ের চেয়েও যোজন যোজন এগিয়ে।
জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল যার গরিব, খেটে খাওয়া মানুষের জন্য, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু দেশের দায়িত্ব নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েন অবকাঠামো নির্মাণে। সেই সঙ্গে বাণিজ্য, শিল্প ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনতে নিতে থাকেন একের পর এক উদ্যোগ। পরিস্থিতির কারণে বহু উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় মালিকানায় নিলেও, তাতে নিশ্চিত করেন শ্রমিকদের মালিকানা।
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অসংখ্য সঙ্কট, অভাব অনটন আর মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে উঠে পড়ে লেগে যান বঙ্গবন্ধু। ধনী গরিবের বৈষম্য কমাতে, সীমা বেঁধে দেন জমির মালিকানার। দেশসেরা অর্থনীতিবিদদের নিয়ে গঠন করেন পরিকল্পনা কমিশন। সেখানেও পরের পাঁচ বছরের জন্য গুরুত্ব পায় শিল্পায়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো খাত। এছাড়া শক্তিধর অর্থনীতির রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন বহির্বাণিজ্য বাড়াতে। ফলে মাত্র তিন বছর দায়িত্বে থেকে ৯৫ ডলারের মাথাপিছু আয় নিয়ে যান ২৯১ ডলারে।
অর্থনৈতিক মুক্তির অন্যতম দিক হিসেবে বঙ্গবন্ধু গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষিখাতে। এই কারণে খাদ্যশস্যসহ সার্বিক উৎপাদন বাড়াতে বিনামূল্যে বিতরণের উদ্যোগ নেন যন্ত্রপাতি, সার ও বীজ।
#তমহ/বিবি/১৬ ০৮ ২০২১
Share with others:
Recent Posts
Recently published articles!
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ব্যবসা ডেস্ক, বিবি
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ভূমি ডেস্ক, বিবি
-
প্রবাস ডেস্ক, বিবি