জমির মাপে আবহমান বাংলার হিসাব

জমির মাপে আবহমান বাংলার হিসাব

মাপ পরিমাপে বাংলাদেশে এখন আন্তর্জাতিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু এসব কাজে এই অঞ্চলের নিজস্ব কিছু পদ্ধতি ছিলো। ছিলো আলাদা চিহ্ন। গ্রামগঞ্জে আজো কিছু কিছু ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে পুরনো দলিল দেখে জমি জমার হিসাব করার জন্য পুরনো পদ্ধতি জানতে হয়। নইলে জমির পরিমাণ বের করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই পুরনো হিসাব এখানে তুলে ধরা হলো।

১। কড়াকিয়া: ১ কড়া (। পোয়া গন্ডা

২। গন্ডাকিয়া: ১ গণ্ডা (১

৩। বুডিকিয়া: ১ বুডি (৫ গণ্ডা

৪। পয়সা বিভাগ: ১ পয়সায় (৫ গণ্ডা

৫। দশকিয়া: ১ দশকে (১০ গণ্ডা

৬। পনকিয়া: ১ পণ /O

৭। চৌকিয়া: ১ চৌক ।O

৮। কাচ্চাকিয়া: ১ কাচ্চা (৫ গণ্ডা

৯। ছটাকিয়া: ১ ছটাক //O

১০। সেরকিয়া: ১ সের /১

১১। কাঠাকিয়া: ১ কাঠা /১

গণ্ডার চিহ্ন।(১ হল এক গণ্ডা, (৫, কে পড়তে হবে পাঁচ গণ্ডা। সাধারণত ধান এর আঁটি এবং বিচুলি বা খড় এর আঁটি গুনতে ‘পণ’ ব্যবহার করা হয়। আর ১ পণ কে লিখা হয় /০ দিয়ে। মাটি কাটার হিসেবের প্রাচীন পদ্ধতি হল ‘চৌকা’। আর এক চৌকাকে প্রকাশ করা হয় ।০ দিয়ে। ছটাক ব্যবহার করা হয় ওজন করার ক্ষেত্রে। ১ ছটাকে ৫৮ গ্রাম। আর এক ছটাককে প্রকাশ করা হয় //০ দিয়ে। সের এর সঙ্গে সবাই কম বেশি পরিচিত। ১ কেজি = ১.০৭ সের। আর সের এর প্রকাশ করা হয় / চিহ্ন দিয়ে । /১০ = দশ সের। কাঠা তো সকলেই বুঝেন। /২ = দুই কাঠা। ৪ বর্গ হাত বা ৪ গণ্ডা =১ বর্গগজ, ৮০ বর্গগজ=১ কাঠা বা ৭২০ বর্গফুট, ২০ কাঠা বা ১৬০০ বর্গগজ = ১ বিঘা।

# টিএমএইচ/২৩ ০৮ ২০১৯/বিবি


বণিকবাংলা ডেস্ক
Published at: শুক্র, আগষ্ট ২৩, ২০১৯ ১:৩৭ অপরাহ্ন
Category: ভূমি
Share with others:

Recent Posts

Recently published articles!