৭১ বছরে বাবা

৭১ বছরে বাবা

আতা গাছে তোতা পাখি , ডালিম গাছে মৌ এতো ডাকি তবু কেনো ,কউ না কথা বৌ।’ কনে বৌ এর মুখটা লাজে লাজুক হয়েছে বৌ আজ কথা বলবে না। তাই ঘোমটা টেনেছে। এমন ঘোমটা টানা লাজুক বউ যৌবনে পেতে সবার ইচ্ছা থাকে। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও কারো কারো পাওয়ার উপায় হয়ে ওঠে না। এমনি একজন তোতা মিয়া।

মো. হাবিবুর রহমান তোতা মিয়া। ৭১ বছর বয়সে সন্তানের বাবা হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন গোটা অঞ্চল। স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর হয়ে বিয়ে করতে দীর্ঘ সময় নিয়েছেন। অর্থাৎ ৬৯ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি।

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার তারাটি ইউনিয়নের কলাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা তোতা মিয়া সাত ভাই বোনের সর্ব কনিষ্ঠ। বর্তমানে তিনি ২০ একর জমির মালিক। গ্রামের মানুষের সুবিধার্থে প্রতিষ্ঠা করেছেন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। নিজ নামে সরকারি প্রাথমিক স্কুল, কওমি মাদ্রাসা, জামে মসজিদ, কবরস্থান, ঈদগাহ মাঠ প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। এছাড়া একটি কলেজ ও বৃদ্ধাশ্রম গড়ে তুলতে ২ একর জমিও দান করেছেন তোতা মিয়া।

জানা গেছে, স্বাবলম্বী, স্বনির্ভর ও আত্মবিশ্বাসী হলেই কেবল বিয়ে করবেন মো. হাবিবুর রহমান। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সময় চলে গেছে ৬৯ বছর। এই বয়সে চাইলেই পাত্রী কোথায় পাবেন? সেই সাধও পূরণ করেছেন একই উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের মনতলা গ্রামের ২৩ বছর বয়সী আকলিমা খাতুন। দরিদ্র পরিবারের এক কন্যা সন্তানের জননী স্বামী পরিত্যক্তা আকলিমা খাতুন সম্মত হন তোতাকে বিয়ে করতে। বিয়ের ২ বছরের মধ্যেই অর্থাৎ চলতি বছরের ১৮ জুলাই দম্পতি এক পুত্রসন্তান লাভ করেন। হাবিবুর রহমান তোতা সন্তানের নাম দিয়েছেন মো. আল রহমত উল্লাহ।

মো. হাবিবুর রহমান তোতা মিয়া জানান, শৈশব থেকে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠতে আমাকে অনেক ধাপ পার হতে হয়েছে। কলা, আলু চাষাবাদ করে আমি আজ সম্পদের মালিক হয়েছি। মানুষের কল্যাণে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। এজন্য আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। সফল হতে গেলে বয়স লাগে না।

শিশুটির বিষয়ে তিনি বলেন, ওকে নিয়েই আমার এখন সবচেয়ে বেশি সময় কাটছে। ওই এখন আমার জীবনের নির্ভরযোগ্য বন্ধন।
#এসএস/বিবি/১৮ ১০ ২০১৯


ফিচার ডেস্ক, বিবি
Published at: শুক্র, অক্টোবর ১৮, ২০১৯ ৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
Share with others:

Recent Posts

Recently published articles!