বন্যার্তদের পাশে ব্র্যাক

বন্যার্তদের পাশে ব্র্যাক

মোট ৪ কোটি টাকার ত্রাণ সহায়তা নিয়ে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্র্যাক। জুলাইয়ে সংস্থাটি জরুরি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। এখন বন্যা পরবর্তী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে আরো সাড়ে তিন কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে তারা। দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর খাবার পানির সংকট, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এই টাকা ব্যয় করা হবে ।

ব্র্যাকের ওয়েবসাইটে থাকা তথ্যমতে, নতুন এই বরাদ্দের মধ্যে প্রায় আড়াই কোটি টাকা (৩ লাখ ডলার) আসছে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেইটস ফউন্ডেশন থেকে জরুরি মানবিক সহায়তার জন্য প্রাপ্ত অনুদান থেকে। বাকি এক কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে ব্র্যাকের নিজস্ব উৎস থেকে।

বন্যায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত চারটি উপজেলায় অন্তত ৬ হাজার পরিবারকে এর মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হবে। এই চারটি উপজেলা হচ্ছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, সিরাজগঞ্জের চৌহালি, গাইবান্ধা সদর ও কুড়িগ্রামের চিলমারী। যেসব পরিবারের প্রধান ব্যক্তি নারী এবং যেসব পরিবারে প্রবীণ, অন্তঃসত্ত্বা ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আছেন, সেসব পরিবার অগ্রাধিকার পাবেন। এছাড়াও, উল্লিখিত চারটি উপজেলায় বন্যায় সর্বস্ব হারানো পরিবারগুলোও এই কার্যক্রমের আওতায় আসবেন।

এ বিষয়ে ব্র্যাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্‌ বলছেন, “বন্যা চলাকালীন ত্রাণ কার্যক্রমের চেয়ে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনকাজ কোনো অংশেই কম চ্যালেঞ্জিং নয়। কেননা, তখন কর্মহীনতা, খাবার পানির সংকট এবং বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। যেহেতু সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এবারের বন্যাকে অন্যতম খারাপ পরিস্থিতি বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে, তাই সামর্থ্যবান প্রত্যেককেই ত্রাণকার্যে এগিয়ে আসা হবে।”

সহায়তার মধ্যে থাকছে পরিবার প্রতি নগদ ৪,৫০০ টাকা, খাবার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা, ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি কমানো, হাইজিন কিট বিতরণ, স্কুল ও ঘরবাড়ি মেরামত, প্রভৃতি। বিতরণকৃত নগদ অর্থ দিয়ে দুঃস্থ পরিবারগুলো তাৎক্ষণিক প্রয়োজন মেটাতে খাবার ও শিশুদের শিক্ষা উপকরণ ক্রয়, বাড়িঘর মেরামত এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা ভোগ করতে পারবে। কয়েকটি এলাকায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা যাওয়ার জন্য নৌকা ক্রয় করে দেয়া হবে। এছাড়াও, ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকর্মীদের বেশ কয়েকটি দল দুর্গত এলাকার মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেবে।

#টিএমএইচ/১৬ ০৮ ২০১৯/বিবি


বিবি ডেস্ক
Published at: শুক্র, আগষ্ট ১৬, ২০১৯ ১২:৩২ পূর্বাহ্ন
Share with others:

Recent Posts

Recently published articles!