মাস্টারকার্ডের ২৮ বছরে বাংলাদেশ

মাস্টারকার্ডের ২৮ বছরে বাংলাদেশ

মাস্টারকার্ডের কার্যক্রম পরিচালনার ২৮ বছর উদযাপন করেছে বাংলাদেশ । একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো ‘পেমেন্ট সামিট’ ও ‘গালা অ্যাওয়ার্ড নাইট’ আয়োজন করেছে শীর্ষস্থানীয় গ্লোবাল পেমেন্ট ও প্রযুক্তি কোম্পানি মাস্টারকার্ড।

১৯ নভেম্বর রাজধানী ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে মাস্টারকার্ডের ২৮ বছরের গৌরবময় পথ চলাকে তুলে ধরা হয়। প্রায় তিন দশকের এই পথ চলায় নগদ অর্থ লেনদেন ছাড়াই দেশে দক্ষ ও নিরাপদ পেমেন্ট পরিমণ্ডল গড়ে তুলার ক্ষেত্রে মাস্টারকার্ডের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের বিষয়টিও উপস্থাপন করা হয়।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে ‘মাস্টারকার্ড পেমেন্ট সামিট ২০১৯’ এর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে এ ধরনের সামিট আয়োজন প্রথম বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ সচিব আসাদুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল।

অন্যদের মধ্যে মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল ছাড়াও উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মাস্টারকার্ডের পার্টনার ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মাস্টারকার্ড পেমেন্ট সামিটে স্টেকহোল্ডারদের জন্য কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে মাস্টারকার্ড কার্ডহোল্ডারদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার পাশাপাশি নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে নিরাপদে অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ও দক্ষতার বিষয়টিতে আলোকপাত করা হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষত: আইসিটি ও ই কমার্স শিল্পে পেমেন্ট সেবা প্রদানসহ বিভিন্ন অবদান রাখার মাধ্যমে সরকারের ‘ভিশন ২০২১’ অর্জনে মাস্টারকার্ড যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, সে বিষয়টিও কর্মশালায় তুলে ধরা হয়।

কর্মশালা শেষে ‘গালা নাইট অ্যাওয়ার্ড’ এর আয়োজন করা হয়। এসময় মাস্টারকার্ডের পার্টনার সেরা ব্যাংকগুলো যারা ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্ভাবন ও নানান সেবা দিয়ে ‘নগদবিহীন’ সমাজ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তাদেরকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

মাস্টারকার্ড, বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, “যাত্রার শুরু থেকে আর্থিক লেনদেনকে আরও নিরাপদ ও সহজ করে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে কাজ করে যাচ্ছে মাস্টারকার্ড। ‘লেস ক্যাশ’ সমাজ গড়ে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পেরে আমরা আনন্দিত।"

বাংলাদেশের ২০টি ব্যাংকের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করেছে মাস্টারকার্ড। ব্যাংকগুলো হচ্ছে: এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক , ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, লংকা বাংলা ফিন্যান্স, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক , ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক , সাউথ ইস্ট ব্যাংক , স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক।

#এসএস/বিবি/২২ ১১ ২০১৯


প্রযুক্তি ডেস্ক, বিবি
Published at: বৃহঃ, নভেম্বর ২১, ২০১৯ ৮:০৯ অপরাহ্ন
Share with others:

Recent Posts

Recently published articles!