ধুলায় ঢাকা রাজধানী ঢাকা

ধুলায় ঢাকা রাজধানী ঢাকা

বায়ুমান বিবেচনায় বৈশ্বিক সূচকে ঢাকা শহর অনেক পিছিয়ে থাকে। এর মানে ঢাকার বাতাস অনেকটাই দূষিত। অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি, উন্নয়ন প্রকল্প, যানবাহন ও শিল্পকারখানা শহরে ধুলাবালির উৎস। দৃশ্যমান ধুলার পাশাপাশি অদৃশ্য ধূলিকণায় ভরে আছে ঢাকার বায়ু।

দূষিত বায়ু কভিড নাইন্টিনজনিত মৃত্যু বাড়িয়ে তুলতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এই আশঙ্কার কথা আগেই জানিয়েছেন। সম্প্রতি তাই ঢাকার বায়ুদূষণ প্রতিরোধে নয় দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো কী উদ্যোগ নিয়েছে এ বিষয়ে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

তবে একটা বিষয় হচ্ছে যে কোনো খারাপ ঘটনা আমাদের জন্য শিক্ষণীয় কিছু নিয়ে আসে। আবার মন্দ থেকে ভালো দিকও পাওয়া যেতে পারে। এখন রাস্তায় লোকজন মাস্ক পরছে। এটা দূষণে ভরপুর ঢাকা শহরের জন্য কিন্তু আগে থেকেই প্রয়োজন ছিলো। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সবাই মাস্ক পরতে আসলে বাধ্য।

শীতে করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আসতে পারে। তাই সবাইকে আরো সতর্কতা অবলম্বনের কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বাইরে বের হলে এখন মাস্ক পরা আরো দরকারি হয়ে গেছে। কারণ শীত সামনে রেখে ঢাকা শহরে ধুলাবালি বাড়ছে ব্যাপকভাবে। পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় এ নিয়ে প্রতিবেদনও করা হচ্ছে। শীতকালে বৃষ্টিপাত কম হয়। এই সময়ে ধুলা বাড়ার বিষয়টি ঢাকা শহরের পুরনো সমস্যা। ধুলবালি এতোই বাড়ে যে, গাছের সবুজ পাতা পর্যন্ত সাদা হয়ে যায়। এগুলোতে মূলত ধুলার পরত জমে থাকে।

ঢাকা শহরের রাস্তাঘাট পরিস্কার করার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। ধুলাবালি দূর করার দায়িত্বও তাদের। এই সিজনে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ভিআইপি এলাকার রাস্তায় পানি ছিটিয়ে ধুলা হ্রাস করার উদ্যোগ নেয়া হয়। এই কাজ ঢাকার সব এলাকায় ছড়িয়ে দেয়া দরকার।

ঢাকা শহরে ধুলা বাড়ার আরো কারণ আছে। মেট্রোরেল, এক্সপ্রেস এলিভেটেডওয়ের মতো বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাই সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাটি খোঁড়াঁখুড়ি চলছে ব্যাপকভাবে। তাই ধুলা উৎপন্ন হচ্ছে সহজেই। প্রকল্প বাস্তবায়নে যারা জড়িত তারা যদি আরো সতর্ক হয়। প্রয়োজনে পানি ছিটিয়ে থাকে, তাহলে ধুলা কমবে বলে আমি মনে করি। ঢাকায় যত্রতত্র অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়িও বন্ধ করতে হবে।

এই লেখার শুরুতেই নেগেটিভ বিষয়ে পজিটিভ দিকের কথা বলা হয়েছিলো। করোনার জন্য যখন সব বন্ধ ছিলো, তখন কিন্তু ঢাকা শহরের দূষণ কম ছিলো। কারণ রাস্তায় গাড়ি চলেনি। মানুষের বিচরণ ছিলো কম। কিন্তু সবকিছু বন্ধ রেখে দূষণ বন্ধ করার বিষয়টি তো আর সম্ভব নয়। তাই ধুলাবালির মতো দূষণ বন্ধে সতর্কতা প্রয়োজন। জোর দিতে হবে নগর পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে। অন্যদিকে নাগরিকরা বাইরে বের হলে অবশ্যই মাস্ক তথা মুখোশ পরতে হবে। এতে ধুলার হাত থেকে সুরক্ষা মিলবে। প্রতিরোধ করা যাবে করোনাভাইরাস।

#তমহ/বিবি/২০ ১২ ২০২০


রাজধানী ডেস্ক, বিবি
Published at: শনি, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০ ৮:৩৭ পূর্বাহ্ন
Share with others:
ad

Recent Posts

Recently published articles!