ফরহাদ খান পাচ্ছেন বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার

ফরহাদ খান পাচ্ছেন বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার


বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার ২০১৯ এ ভূষিত হয়েছেন প্রাবন্ধিক গবেষক ফরহাদ খান। প্রবন্ধসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি পরিচালিত এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪২তম বার্ষিক সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুরস্কারের অর্থমূল্যএক লক্ষ টাকা।

উল্লেখ্য, ‘সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার’ এর তহবিল প্রদান করেছেন মোহম্মদ বরকতুল্লাহর কন্যা নিলুফার বেগম,জামাতা মাহবুব তালুকদার ও পরিবারের সদস্যবর্গ।

ফরহাদ খানের জন্ম ২৩ ডিসেম্বর ১৯৪৪। পৈতৃক নিবাস কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার আমলা গ্রামে। তিনি শিক্ষা লাভ করেছেন আমলা সদরপুর প্রাইমারি স্কুল, আমলা সদরপুর এইচ ই স্কুল, মেহেরপুর কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে। ১৯৭০ এ কুষ্টিয়ার কুমারখালী কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবনের শুরু। ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগ দিয়ে ২০০২ সালে বাংলা একাডেমির ভাষা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগের পরিচালকের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিন বছর ডেপুটেশনে বাংলা বিভাগের একজন সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন জার্মানির কোলন শহর ডয়েচে ভেলে রেডিও তে।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে প্রতীচ্য পুরাণ, শব্দের চালচিত্র, বাংলা শব্দের উৎস অভিধান, চিত্র ও বিচিত্র, হারিয়ে যাওয়া হরফের কাহিনি, বাঙালির বিবিধ বিলাস, নীল বিদ্রোহ (যৌথ অনুবাদ), ব্যারন মুনশাউজেনের রোমাঞ্চকর অভিযান, গল্প শুধু গল্প নয় (শিশুতোষ গল্প)। বাংলা একাডেমি ছোটদের অভিধানসহ তিনটি বইয়ের সম্পাদনার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।

একজন বেতার ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবেও ফরহাদ খান সুপরিচিত। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত বেতারে সংবাদ অনুবাদ ও পাঠ করেছেন। ১৯৮৬ পর্যন্ত ঢাকা বেতারের ‘উত্তরণ’ ও ‘সংবাদ বিচিত্রা’র সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তিনি মাতৃভাষা নিয়ে ‘মোদের গরব মোদের আশা’, বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে ‘আহমান বাংলা’ এবং ‘মাতৃভাষা’ অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করছেন।
#এসএস/বিবি/০৪ ১১ ২০১৯


সাহিত্য ডেস্ক, বিবি
Published at: রবি, নভেম্বর ৩, ২০১৯ ১০:৩১ অপরাহ্ন
Share with others:

Recent Posts

Recently published articles!