লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ টন

লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ টন

এবছর ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৬ লাখ টন। তবে এখনও প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ পাচ্ছে না জেলেরা। কারণ হিসেবে গবেষকেরা বলছেন, ঋতুচক্রে পরিবর্তন আসায় অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে বর্ষা। তাই ইলিশের মৌসুম শুরু হচ্ছে আগস্টে। উৎপাদন আরও বাড়াতে সুন্দরবনের বলেশ্বর নদীতে শিগগিরই নতুন প্রজনন ক্ষেত্র হচ্ছে।

শ্রাবণের আমাবশ্যা থেকে ভাদ্রের পূর্ণিমা পর্যন্ত ইলিশের মৌসুম। এ সময় কম তাপমাত্রা আর তীব্র স্রোতের কারণে সমুদ্র থেকে উজানে আসে এই মাছ।

গবেষকেরা বলছেন, ২০০৭ সালের পর ঋতুচক্রে এসেছে পরিবর্তন। আগস্ট সেপ্টেম্বর, এমনকি অক্টোবর পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে বর্ষা। তাই ইলিশের মৌসুমও শুরু হচ্ছে আগস্টে। পদ্মা মেঘনা অববাহিকার ছয় অভয়াশ্রম ও চার প্রজনন কেন্দ্রে উৎপাদন বাড়ছে। ২০০৮ ০৯ এ ধরা পড়ে প্রায় তিন লাখ টন।

“২০২২ এ এসে তা দাঁড়ায় ৫ লাখ ৭১ হাজার টনে। এ বছরও নদীতে ডিম ছেড়েছে ৫২ শতাংশ ইলিশ। তাই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ছয় লাখ টন। সুন্দরবনের বলেশ্বরে নতুন প্রজনন ক্ষেত্র হলে তা আরও বাড়বে।”

গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত মিয়ানমারেও একই সময়ে নিষেধাজ্ঞা থাকলে আঞ্চলিক উৎপাদনও বাড়বে।

আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিশের তথ্যমতে, বিশ্বের মোট ইলিশের ৬৫ শতাংশই বাংলাদেশে। এ ছাড়া ভারত, মিয়ানমার, চীন, থাইল্যান্ড থেকে শুরু করে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইন কুয়েতেও মেলে রূপালি এই মাছ।

#তমহ/বিবি/২০জুলাই২০২


জাতীয় ডেস্ক, বিবি
Published at: বুধ, জুলাই ১৯, ২০২৩ ২:২৪ অপরাহ্ন
Share with others:

Recent Posts

Recently published articles!