কমবে কুয়াশা, বাড়বে শীত
চলতি সপ্তাহের শেষদিকে নামতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। এমন তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে হতে পারে হালকা বৃষ্টি। সবমিলিয়ে সারাদেশেই তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। তারা বলছেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমবে কুয়াশার মাত্রা।
কিন্ত শীতকাল আসার আগেই জেঁকে বসেছে শীত। কুয়াশায় ঢেকে থাকছে দিনের বেশিরভাগ সময়। ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডায় বিপর্যস্ত অনেক জেলার জনজীবন। আর দুদিন পরেই আসছে পৌষ মাস, অর্থাৎ শীতকালের শুরু।
আবহাওয়ার অধিদপ্তর বলছে, সারাদেশে বেশ কয়েকদিন ধরে বেশি কুয়াশা পড়ছে। যা কয়েকদিনের মধ্যে কমে যাবে। তবে, শীতের তীব্রতা বেড়ে শৈত্য প্রবাহের আভাস দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। তবে রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
তিনি জানান, ঘন কুয়াশার দুই একদিনের মধ্যে কোথাও কোথাও কমে আসবে। তাপমাত্রা আরো কমবে তবে, সেটি মঙ্গল বা বুধবার দেশের পশ্চিমাঞ্চলে হালকা বৃষ্টির পর।
শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় চুয়াডাঙ্গায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৪ ডিগি সেলসিয়াস, আগেরদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, গত কয়েক দিনের ঘন কুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ। বাড়ছে শীতজনিত রোগ। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ হচ্ছে ছিন্নমূল মানুষের।
বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারি মাসজুড়ে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২০১৩ সালের ১১ জানুয়ারি সৈয়দপুরের তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছিল।
এর আগে, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তমহ/বিবি/১৩ ১২ ২০২০
Share with others:
Recent Posts
Recently published articles!
-
ব্যাংক ডেস্ক, বিবি
-
জাতীয় ডেস্ক, বিবি
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ব্যবসা ডেস্ক, বিবি