চাঁদের মাটিতে গাছ!

চাঁদের মাটিতে গাছ!

প্রায় ৫০ বছর ধরে চাঁদের মাটিতে গাছ জন্মাতে কাজ করছিলেন বিজ্ঞানীরা। লক্ষ্য আগামী দিনে চাঁদের মাটিতে অভিযাত্রীদের জন্য খাদ্য উৎপাদন করা। বিজ্ঞানীদের সেই চেষ্টার ফল হিসাবে চাঁদের মাটিতে প্রথমবারের মতো জন্মালো উদ্ভিদ।

নীল আর্মস্ট্রং, বাজ অলড্রিনদের এপোলো-১১ ও পরের কয়েকটি অভিযানে এই মাটি আনা হয়েছিল চাঁদ থেকে। বৃহষ্পতিবার শতকোটি বছরের মহাজাগতিক বিকিরণ হওয়া এই মাটিতে প্রাণের জন্ম দেবার তথ্য জানিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার গবেষকরা।

কমিউনিকেশনস বায়োলজি জার্নালে ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার বিজ্ঞানীরা বলছেন, দুই দশকের মধ্যেই চাঁদে গ্রিনহাউজে খাদ্যশস্য উৎপাদন করা যাবে।

তবে রিগোলায়েথ নামের এই মাটি ভয়ানক রকমের শুষ্ক, কণাও তীক্ষ্ণ। এতে খনিজ ও অন্যান্য উপাদানগুলো এতই অস্বাভাবিক যে, পৃথিবীর কোনো উদ্ভিদ বা অনুজীবেরও বাঁচা সম্ভব না। উদ্ভিদ জন্মাতে তাই যোগ করতে হয়েছে নিউট্রিয়েন্ট ও প্রচুর পানি।

বিজ্ঞানী রবার্ট ফেরাল জানান, 'আশা করছি, আগামীতে আমরা আরও ভালো সিমুল্যান্ট পাব, যা চাঁদের মাটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জৈব প্রতিক্রিয়াশীল। এই গবেষণা থেকে আমরা সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো ফল পেতে যাচ্ছি।'

এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেও এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা কথাও স্বীকার করেছেন গবেষকরা। রুক্ষ প্রকৃতির কারণে এই মাটিতে উদ্ভিদের বৃদ্ধি খুবই ধীর এবং এক পর্যায়ে গিয়ে তা থেমে যাচ্ছে।

বায়োলজিস্ট এনা লিসা পল বলেন, 'প্রথম সপ্তাহে ল্যাবের অন্য উদ্ভিদের সাথে চাঁদের মাটির উদ্ভিদের বৃদ্ধিতে কোন পার্থক্য দেখা যায়নি। তাই বলা যায় যে, প্রাথমিক বৃদ্ধি থামাতে বিষাক্ত উপাদান বাধার কারণ হয়নি। পরে সমস্যাগুলো বুঝতে আলাদা ছোট টবে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। দেরিতে হলেও সব চারাই বড় হয়েছে।'

এছাড়া চাঁদের নতুন মাটি বা আগ্নেয়গিরি এলাকা খনন করেও ভিন্ন প্রকৃতির মাটি পাওয়ার আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি চাঁদের আবহাওয়া প্রভাবিত করে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ও উল্লেখ করা হয়েছে গবেষলা পত্রে।

#তমহ/বিবি/০২-০৬-২০২২

ক্যাটেগরী: বিশ্ব

ট্যাগ: বিশ্ব

বিশ্ব ডেস্ক, বিবি বৃহঃ, জুন ২, ২০২২ ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন

Comments (Total 0)