আ.লীগের ৮১ সদস্যের নতুন কমিটি

আ.লীগের ৮১ সদস্যের নতুন কমিটি

আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের পর এবার দলটির কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হলো। ৮১ সদস্যের এই কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে ৭৪টি পদে নেতার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদের পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।

এবারের কমিটিতে তেমন কোনো চমক নেই। কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ পাওয়া ব্যক্তিদের বেশির ভাগই আগের কমিটির কোনো না কোনো পদে ছিলেন। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যপদে নতুন ঢুকেছেন শাজাহান খান। রাজনৈতিক অঙ্গনে এই আলোচনাই হচ্ছে, শাজাহান খানই এবারের কমিটির মূল চমক। সাবেক এই মন্ত্রী ও শ্রমিকনেতা প্রথমবারের মতো কমিটিতে ঢুকে দলটির নীতিনির্ধারণী ফোরাম সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হয়েছেন।

তবে এসব ছাপিয়ে রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এই আলোচনা ছিল, এবারের কমিটিতে বর্তমান মন্ত্রিসভার সাত সদস্য এখন পর্যন্ত জায়গা পাননি। অনেকের মনেই প্রশ্ন, তাহলে কি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দল ও সরকারের মধ্যে পার্থক্য আনতে চাইছেন? ভবিষ্যতে কি যাঁরা দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকবেন, তাঁরা সরকারে থাকতে পারবেন না?

এবারের কমিটিতে জায়গা না পাওয়া এবং বিগত কমিটিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করা সাত মন্ত্রীর মধ্যে আছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বিগত কমিটিতে অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। আছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, তিনি ছিলেন আইনবিষয়ক সম্পাদক।

নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী; তাঁরা তিনজনই ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, তিনি আগের কমিটিতে ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

আর মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরাও নেই কমিটিতে। ইন্দিরা আগের কমিটিতে মহিলাবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব ছিলেন। এ ছাড়া আগের কমিটির সদস্য বর্তমান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানও বর্তমান কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন।  

বিগত কমিটিতে বর্তমান মন্ত্রিপরিষদের ১৪ জন সদস্য ছিলেন। ৯ জন না থাকলেও বাকি ৫ জন ইতিমধ্যে কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। তাঁরা হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (সভাপতি), সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (সাধারণ সম্পাদক), কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক (সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য), শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক) ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক)।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনের পরে দলের ২০তম কাউন্সিলের পর গঠিত কমিটিতে থাকা অনেক মন্ত্রীকে বর্তমান মন্ত্রিপরিষদে জায়গা দেওয়া হয়নি। ফলে বিগত ৭৭ সদস্যের কমিটিতে মাত্র ১৪ জন মন্ত্রী ছিলেন। এবার তা আরও কমল।

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় আছে। এ সময় দলের চারটি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। চারটি কাউন্সিলে গঠিত কমিটিগুলোর মধ্যে এবারের কমিটিতে সবচেয়ে কম মন্ত্রী থাকছেন।

যে সাতটি পদে এখনো নেতাদের নাম ঘোষণা হয়নি, তার মধ্যে একটি সাংগঠনিক সম্পাদক, একটি কোষাধ্যক্ষ, তিনটি সদস্য ও দুটি সম্পাদক পদ রয়েছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাহবুব উল আলম হানিফ। আগের কমিটিতেও একই পদে ছিলেন তিনি। 

#এসএস/বিবি/২৭-১২-২০১৯

ক্যাটেগরী: রাজনীতি

ট্যাগ: রাজনীতি

রাজনীতি ডেস্ক, বিবি শুক্র, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯ ১:০৩ অপরাহ্ন

Comments (Total 0)