দাম বৃদ্ধি, ক্ষুধার্ত মানুষ বৃদ্ধি...

দাম বৃদ্ধি, ক্ষুধার্ত মানুষ বৃদ্ধি...

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ, খরা ও অন্যান্য কারণে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গিয়ে গেলো বছর সারাবিশ্বে বেড়েছে খাদ্যপণ্যের দাম। আর এতে করে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধাকে আরও খারাপ অবস্থায় নিয়ে গেছে। এর ফলে ১৯৯০ সালের পর ২০২২ সালে খাদ্যের দাম ছিল সবচেয়ে বেশি বলছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)।

সম্প্রতি এফএওর খাদ্য মূল্য সূচক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রোমভিত্তিক সংস্থাটি শুক্রবার দেওয়া সূচক অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে খাদ্যের দাম ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ২০২২ সালে এফএওর খাদ্য মূল্য সূচকের গড় মান ছিল ১৪৩ দশমিক ৭ যা ১৯৯০ সালের পর সর্বোচ্চ। তবে বছরের শেষ দিকে কমতে থাকে খাদ্যপণ্যের দাম।

সূচকে আরও দেখা যায়, ডিসেম্বরে খাদ্যশস্যের দাম আগের মাস নভেম্বরের তুলনায় এক দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। খাদ্যপণ্যের দাম কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের সঙ্গে কিছু খাদ্যশস্য ও মাংসের দাম কমে যাওয়াকে উল্লেখ করা হয়।

এফএওর প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো তোরেরো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দুটি অত্যন্ত অস্থির বছর পরে শান্ত (তুলনামূলক) খাদ্য পণ্যের দামকে স্বাগত জানাই। সতর্ক থাকা এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা প্রশমিত করার জন্য দৃঢ় ফোকাস রাখা গুরুত্বপূর্ণ।’

ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন খাদ্য সংকটকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কারণ দুটি দেশ গম, বার্লি, সূর্যমুখী তেল এবং অন্যান্য পণ্যের বৈশ্বিক সরবরাহকারীদের নেতৃত্ব দেয়। এদিকে, বিশেষ করে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার কিছু অংশে যারা ইতোমধ্যেই ক্ষুধার সঙ্গে লড়াই করছে।
#তমহ/বিবি/০৭-০১-২০২৩

ক্যাটেগরী: বিশ্ব

ট্যাগ: বিশ্ব

বিশ্ব ডেস্ক, বিবি শনি, জানুয়ারী ৭, ২০২৩ ৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

Comments (Total 0)