খালেদা জিয়ার বন্দিত্বের দুই বছরে বিএনপি

খালেদা জিয়ার বন্দিত্বের দুই বছরে বিএনপি

খালেদা জিয়ার বন্দিত্বের দুই বছর পূর্তির দিনে তাঁর মুক্তির দাবিতে আগামী শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি। শনিবার ঢাকার সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচির ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘অনেক কথা বলেছি, অনেক দাবি জানিয়েছি, নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। এখন আমাদের একটাই কথা, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবই। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করব।’

আজ নয়াপল্টনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বন্দিত্বের দুই বছর পূর্তির দিনে তাঁর মুক্তির দাবিতে বিএনপি এ সমাবেশ করে। অনুমতি নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের সমাবেশের আয়োজন করতে হয়। শেষ মুহূর্তে হাজার হাজার নেতা-কর্মী খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমাবেশে অংশ নেন।

সমাবেশে ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে দলের দুই মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘শতকরা ১৫ ভাগ ভোট পেয়ে কোনো দিন জনপ্রতিনিধি হওয়া যায় না, জনগণের মেয়র হওয়া যায় না। সিটি নির্বাচনে আমরা প্রমাণ করেছি, এ দেশের মানুষ এখন ঐক্যবদ্ধ। যতই যন্ত্র দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিতে চাও, এ দেশে মানুষ তোমাদের সেখানে পৌঁছাতে দেবে না।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে, মিথ্যা মামলা সাজিয়ে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বেগম খালেদা জিয়াকে আটক বরে রাখা হয়েছে। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। এত অসুস্থ যে কারও সাহায্য ছাড়া হাটতে পারেন না, ঠিকমতো খেতে পারেন না। তাঁর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই, আর্থ্রাইটিস বেড়ে গেছে। দুটি বছর বিনা কারণে তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, জনগণের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই ভয়াবহ দানবকে পরাজিত করতে হবে এবং মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকারকে বাধ্য করব বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে জনগণের সব অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এ হচ্ছে এখন আমাদের একমাত্র কাজ।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এই সরকারের পতন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন একসঙ্গে করতে হবে। কারণ এ সরকারের পতন ছাড়া মানুষের মুক্তি হবে না, খালেদা জিয়ার মুক্তিও হবে না। আর খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না।

স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেন, এ সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।খালেদা জিয়ার জামিনে সরকারের হস্তক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমাদের আইনজীবীরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন জামিনের জন্য। কিন্তু সরকারের রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে জামিন হচ্ছে না।’ 

স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারে বিএনপির দুই প্রার্থীর মিছিলে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তাঁরা ভোট দিতে যাননি। কেন যাননি? ঢাকার জনগণ এই সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিশ্বাস করেন না। এই নির্বাচন ব্যবস্থাকে তাঁরা প্রত্যাখ্যান করেছেন।’

সমাবেশ আরও বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, বরকতউল্লাহ বুলু, ​নিতাই রায় চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান মিনু, আইনজীবী ফজলুর রহমান, মেয়াজ্জেম হোসেন, খায়রুল কবির, শহীদউদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।

#এসএস/বিবি/০৯-০২-২০২০

ক্যাটেগরী: রাজনীতি

ট্যাগ: রাজনীতি

রাজনীতি ডেস্ক, বিবি শনি, ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২০ ৮:৪৯ অপরাহ্ন

Comments (Total 0)