প্রযুক্তির মাধ্যমে সহমর্মিতা...

প্রযুক্তির মাধ্যমে সহমর্মিতা...

আগামী ১৩ মে ২০২২, শুক্রবার, রাত ৯ টায় এমপ্যাথি ন্যাশন- এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে একটি ভার্চুয়াল সেমিনার। ‘Empathy through Technology - a fundamental requirement for human civilisation’ শীর্ষক এই আয়োজনে অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা এবং ‌‘স্বাস্থ্য শাখায় আইডিএলসি –প্রথম আলো এসএমই পুরস্কার ২০২১’ ও 'উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি শাখায় এইচএসবিসি  বিজনেস এক্সিলেন্স পুরস্কার - ২০২২' এর বিজয়ী প্রতিষ্ঠান বাইবিট লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. খোন্দকার সিদ্দিক–ই–রব্বানী।

যারা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে মানুষের জন্য কাজ করতে চান, তাঁদের জন্য এই সেমিনারটি একটি অসাধারণ সুযোগ। এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। শুধু রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে।

রেজিস্ট্রেশন লিংকঃ https://forms.gle/3B72sYM4zKyyS48n7

https://www.facebook.com/events/755473432123332/

এ বিষয়ে ড. খোন্দকার সিদ্দিক–ই–রব্বানী বলেন, 'নিয়ন্ত্রিতভাবে আগুন জ্বালানোর ক্ষমতাকে মানব সভ্যতার শুরুর সবচেয়ে বড় অনুঘটক হিসেবে ধরা হয়। এটি কিন্তু একটি প্রযুক্তির আবিষ্কার। প্রযুক্তি আবিষ্কারের মাধ্যমে প্রকৃতির সম্পদকে কাজে লাগিয়ে মানুষের জীবনমান এর উন্নয়ন ঘটানোতেই রয়েছে সভ্যতার চাবিকাঠি। আবার মানুষের সহজাত সহমর্মিতা বা এমপ্যাথি এসব আবিষ্কারকে সবার সাথে খোলাখুলিভাবে ভাগাভাগি করতে তাকে স্বাভাবিকভাবেই পরিচালিত করেছে, যার ফলে মানব সভ্যতা বিকশিত হয়েছে। দুঃখজনক ভাবে প্রায় ছয়শত বছর আগে পাশ্চাত্যে এক স্বার্থপরতার ভিত্তি তৈরি হয় প্রযুক্তির ‘মেধাস্বত্ব’ বা ‘পেটেন্ট’ এর নামে। এর কারণেই বিশ্বের মানুষের মধ্যে আজ এক বিশাল বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। এর থেকে সচেতনভাবে সরে আসতে না পারলে বিশ্বের মানুষের সহমর্মী সমাজ বা এমপ্যাথি ন্যাশন এর বাস্তবায়ন সুদূরপরাহত থেকে যাবে।'

এমপ্যাথি ন্যাশনের এ উদ্যোগ সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানটি ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসান শাওন বলেন, “সহমর্মী সমাজ, দেশ ও পৃথিবী গড়তে আমরা এ আয়োজনকে খুব সময় উপযোগী মনে করছি। অধ্যাপক ড. খোন্দকার সিদ্দিক–ই–রব্বানী মতো দেশবরেণ্য নন্দিত ব্যক্তিত্বের উপস্থিতিতে আমরা ঋদ্ধ হব।”


অধ্যাপক ড. খোন্দকার সিদ্দিক–ই–রব্বানীর জন্ম ১৯৫০ সালের ৯ মে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন শেষে ইসলামাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি স্নাতকোত্তর পাঠ সমাপ্ত করেন। এরপর ইংল্যান্ডের সাউথহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ে কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে মাইক্রোইলেক্ট্রনিক্স বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। দেশে ফিরে তিনি শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে। পাঠদানের পাশাপাশি তিনি প্রযুক্তি দিয়ে দেশের গণমানুষের জীবনমান উন্নত করার লক্ষ্যে গবেষণায় সক্রিয় থাকেন। ১৯৭৮ ড. রব্বানী দুজন জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানীর সঙ্গে মিলে পিইএমএফ প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাড় জোড়া দেয়ার একটি পদ্ধতির ওপর গবেষণা করে সফল হন। ১৯৮৮ সালে তিনি স্নায়বিক রোগ নির্ণয়ে দেশের প্রথম কম্পিউটার ও ইলেকট্রনিক-ভিত্তিক ডিভাইস ডিজাইন ও তৈরি করেন। শুধু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র উদ্ভাবন করেই তিনি থেমে থাকেন না। তা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে এর বিপণন ও বাজারজাতকরণ করে হয়ে ওঠেন একজন উদ্যোক্তা। ২০০৮ সালে তার হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ। ড. রব্বানীর বহু গবেষণা ও উদ্ভাবন বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। কিন্তু এর কোনো পেটেন্ট নেননি তিনি। বিশ্বব্যাপী মানুষে মানুষে প্রকট বৈষম্যের মূলে রয়েছে প্রযুক্তির পেটেন্ট প্রথা - এ উপলব্ধি থেকে তিনি পেটেন্ট প্রথার বিরুদ্ধে সংগ্রামী।

#তমহ/বিবি/০৭-০৫-২০২২

ক্যাটেগরী: প্রযুক্তি

ট্যাগ: প্রযুক্তি

প্রযুক্তি ডেস্ক, বিবি শনি, মে ৭, ২০২২ ১১:০০ পূর্বাহ্ন

Comments (Total 0)