ভার্চুয়াল সেশন এ শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল উপস্থাপনায় ‘আগামীর বাংলাদশ’ আয়োজিত “দুই দশকে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি): প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
১৮ জুলাই আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে সংযুক্ত ছিলেনঃ মেজবাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব ( উন্নয়ন অনুবিভাগ ), স্থানীয় সরকার বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার; খাইরুল আলম প্রিন্স, সাধারন সম্পাদক, কেআইবি, কে.এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ওয়ান ফার্মা লি: এবং প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ, উপাচার্য, শেকৃবি।
সূচনা বক্তব্যে সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে দুই দশকের হলেও উপমহাদেশের প্রাচীনতম উচ্চতর কৃষি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে এর ইতিহাস ৮২ বছরের। এটিকে কেন্দ্র করেই মূলত উপমহাদেশের কৃষি ব্যবস্থার ভিত্তি রচিত হয়েছিল তুলে ধরেন।
প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং সাধারন সম্পাদক, শেকৃবি এলামনাই এসোসিয়েশন জনাব মেজবাহ উদ্দিন বলেন “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ও একাডেমিক উন্নয়নে এলামনাই সর্বদা পাশে থাকবে বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।” এবং কেআইবি এর মহাসচিব, এবং কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের প্রকল্প পরিচালক মোঃ খায়রুল আলম প্রিন্স কৃষির গ্রাজুয়েটদের প্রয়োগিক ও বাস্তবিক জ্ঞান অর্জনের জন্য ইন্টার্নশীপ থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির শিল্পউদ্যোক্তা পুরস্কার প্রাপ্ত এবং ওয়ান ফার্মা লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিআইপি কে.এস.এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন সকল অনুষদের গ্রাজুয়েটদের বাণিজ্যিক জ্ঞানের জন্য ব্যবসায় জ্ঞান, যোগাযোগ ও কর্ম দক্ষতার গুনাবলি থাকা উচিত বলে মনে করেন।
প্রোগ্রামটির সভাপতিত্ব করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং শেকৃবি এলামনাই এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ অনুষদগুলোতে শিক্ষার্থীদের গবেষণাধর্মী একাডেমিক পলিসি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত দীর্ঘমেয়াদী ভিশন থাকা উচিত বলে মনে করেন।
অনুষ্ঠানটি সূচনা বক্তব্য ও সঞ্চালনা করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট এন্ড ফাইন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুল।
এছাড়াও প্ল্যাটফর্মের কোর গ্রুপের সম্মানিত সদস্যসহ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। সংলাপে সরকারি কর্মকর্তা, যুব প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, ব্যক্তিখাতের উদ্যোক্তা, সমাজকর্মী, পেশাজীবি এবং গণমাধ্যমকর্মীসহ নাগরিক সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
#এসকেএস/বিবি/১৯-০৭-২০২০
Comments (Total 0)