আইপিও দ্বিগুণ, কিন্তু অর্থ কম...

আইপিও দ্বিগুণ, কিন্তু অর্থ কম...

আগের বছরের চেয়ে ২০২১ সালে প্রায় দ্বিগুণ কোম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। অথচ প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের পরিমাণ কমেছে। গতবছর কভিডের মধ্যেও আইপিওর মাধ্যমে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু চলতি বছরে সংগ্রহ করা অর্থের পরিমাণ তার চেয়ে কমেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০২০ সালে আটটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে। সে বছর রেকর্ড এক হাজার ২৯৬ কোটি ৮৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু চলতি বছরে এরই মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান আইপিও’র মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছে। এছাড়া বছরের বাকি সময় আরও দুটি কোম্পানি আইপিও’র মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে। পাশাপাশি একটি প্রতিষ্ঠান বন্ড ছেড়ে চলতি বছর অর্থ সংগ্রহ করেছে। এতে চলতি বছর মোট ১৫টি প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজার থেকে এক হাজার ২৮৩ কোটি ৩৬ লাখ ৯ হাজার টাকা সংগ্রহ করেছে।

গত বছর আইপিওর মাধ্যমে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ উত্তোলন করা হলেও বছরের শুরুর চিত্র মোটেও ভালো ছিল না। মহামারির কারণে ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন বন্ধ থাকে পুঁজিবাজারের লেনদেন।

গত বছরের শেষদিক থেকে চলতি বছরজুড়েই জমজমাট থাকে আইপিওর বাজার। চলতি বছরের প্রথম মাসেই আইপিওর মাধ্যমে তিনটি কোম্পানি শেয়ারবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। এর মধ্যে স্থিরমূল্য (ফিক্সড প্রাইস) পদ্ধতিতে তৌফিকা ফুড অ্যান্ড লাভেলো আইসক্রিম ৩০ কোটি টাকা এবং ই-জেনারেশন ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। আর লুব-রেফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ১৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে প্রিমিয়াম ১০৪ কোটি ৭৫ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।

 

পরের মাস ফেব্রুয়ারিতে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে তিনটি কোম্পানি। এ মাসেও দুটি স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে এবং একটি বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অর্থ সংগ্রহ করে। এর মধ্যে স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে এনআরবিসি ব্যাংক ১২০ কোটি টাকা এবং দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। আর ইনডেক্স অ্যাগ্রো বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে সংগ্রহ করে ৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রিমিয়াম ৪১ কোটি ৭৪ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।

এরপর মার্চ ও এপ্রিল মাসে নতুন আইপিও আসেনি। দুই মাস বিরতির পর নতুন নিয়মে মে মাসে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। আইপিওতে আবেদন করা প্রত্যেক বিনিয়োগকারী শেয়ার পাবেন এই নিয়ম শুরু হয় এই বিমা কোম্পানিটি দিয়েই। স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে এ প্রতিষ্ঠানটির সংগ্রহ করা অর্থের পরিমাণ ছিল ১৯ কোটি টাকা।

জুন ও জুলাইয়েও একটি করে কোম্পানি আইপিওতে আসে। এর মধ্যে জুন মাসে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার ২২৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে প্রিমিয়াম ১৫১ কোটি ২২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা। জুলাই মাসে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ব্যাংক স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।

এরপর আগস্ট ও সেপ্টেম্বর- এ দুই মাস আবার আইপিও বন্ধ থাকে। অক্টোবরে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে দুটি কোম্পানি। এর মধ্যে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ১৬ কোটি এবং এক্মি পেস্টিসাইডস ৩০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এ দুটি কোম্পানিই স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে।

পরের মাস নভেম্বরে কোনো কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করেনি। ডিসেম্বর মাসে এরই মধ্যে একটি কোম্পানি আইপিও এবং একটি প্রতিষ্ঠান বন্ডের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করেছে। আইপিওর স্থিরমূল্য পদ্ধতিতে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স ১৯ কোটি ৩৬ লাখ ৯ হাজার টাকা উত্তোলন করেছে। এআইবিএল মুদারাবা পারপিচুয়াল বন্ডের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।

#তমহ/বিবি/৩০-১২-২০২১

ক্যাটেগরী: শেয়ারবাজার

ট্যাগ: শেয়ারবাজার

শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি বৃহঃ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২১ ১২:১৯ পূর্বাহ্ন

Comments (Total 0)