পোশাক রপ্তানিতে হাওয়া বদল!

পোশাক রপ্তানিতে হাওয়া বদল!

টিকা দেয়ার কারণে পশ্চিমা বিশ্বে করোনা ভাইরাস কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। ফলে লকডাউন উঠে গেছে। স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। এ অবস্থায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পোশাকখাতও। এর ঢেউ লেগেছে বাংলাদেশেও। পোশাকের ক্রয়াদেশ বেড়েছে। অবশ্য বিদেশি ক্রেতাদের এদিকে আসার পেছনে ভূরাজনীতিসহ আরো কিছু কারণ আছে। এটাই জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল।

জানা যায়, আগামী দুই বছর ফরমায়েশের পরিমাণ আরো বাড়ানোর চিন্তা করছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতারা। এ অবস্থায় কম দামের ফরমায়েশ না নিতে সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। তবে লকডাউন ও কনটেইনার জট চিন্তায় ফেলেছে তাদের।

গাজীপুরের মৌচাক এলাকার তৈরি পোশাক কারখানা সাদমা ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড। প্রতিমাসে ২০ লাখ পিস পোশাক উৎপাদন করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। উদ্যোক্তারা জানান, পাঁচ মাসের পূর্ণ ক্রয়াদেশ আছে তাদের। ভালো ক্রয়াদেশ থাকায় করোনার মধ্যেই কারখানা সম্প্রসারণ করছে তারা।

উদ্যোক্তারা জানান, দীর্ঘদিন পর লকডাউন থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে ইউরোপ ও আমেরিকা। তাই পোশাকের বাড়তি চাহিদা আশা করছে ব্র্যান্ডগুলো। অন্যদিকে তুলনামূলক কম দাম যেমন ক্রেতাদের বাংলাদেশমুখী করছে তেমনি সর্বোচ্চ সংখ্যক পরিবেশবান্ধব কারখানা ও কর্মপরিবেশের উন্নয়নে ইমেজ বেড়েছে বাংলাদেশের। আবার, করোনা পরবর্তী ভূরাজনীতির কারণে অনেক দেশই চীন ও মিয়ানমারে ক্রয়াদেশ কমাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম এগিয়ে থাকলে নিয়ন্ত্রণহীন করোনার কারণে পিছিয়ে ভারত। তাই আগের দামে পোশাক অর্ডার না নেওয়ার আহবান।

ক্রয়াদেশে আশা দেখলেও নানা কারণে উদ্বিগ্ন উদ্যোক্তারা। করোনা প্রতিরোধে এবারের লকডাউনে বন্ধ তৈরি পোশাক কারখানা। উদ্যোক্তারা বলছেন, দ্রুততম সময়ে কারখানা খুলতে না পারলে পণ্য পাঠাতে হবে কার্গো প্লেনে। এতে বাড়বে খরচ। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে দীর্ঘদিন ধরে চলছে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার সংকট।

গত অর্থবছরে প্রায় ৩১ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। চলতি অর্থবছরে এখাত থেকে আয়ের লক্ষ্য ৩৫ বিলিয়ন ডলার।

#তমহ/বিবি/২৬-০৭-২০২১

ক্যাটেগরী: ব্যবসা

ট্যাগ: ব্যবসা

ব্যবসা ডেস্ক, বিবি সোম, জুলাই ২৬, ২০২১ ৯:০৬ পূর্বাহ্ন

Comments (Total 0)