ইলেকট্রিক গাড়ি: কতটা এগুলো দেশ?

ইলেকট্রিক গাড়ি: কতটা এগুলো দেশ?

জ্বালানি খরচ তুলনামূলক অনেক কম। পরিবেশ দূষণও কম করে। তাই উন্নত বিশ্ব হাঁটছে ইলেকট্রিক গাড়ির দিকে। বাংলাদেশে এই খাতের অগ্রগতি কেমন? উৎপাদন, আমদানি ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে এখনো ব্যাপকতা দেখা যায়নি ইলেকট্রনিক গাড়ির ক্ষেত্রে।

তবে এ বিষয়ে আছে আশার খবর। ইলেকট্রনিক গাড়ির ব্যাপকতায় পাশে থাকবে সরকার। এমন গাড়ি তৈরিতে বিনিয়োগকারীদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। ২ ডিসেম্বর বুধবার পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-পিআরআইয়ের অনলাইন সেমিনারে তিনি এই আশ্বাস দেন।

দেশে এমন গাড়ি প্রস্তুত ও ব্যবসার ব্যাপক সম্ভাবনা আছে বলেও মনে করেন তিনি। এ সময় গাড়ি আমদানিতে শুল্কের পরিমান যৌক্তিক করার সুপারিশ করেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশে প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে তিনজনের গাড়ি আছে। যেখানে মালয়েশিয়ায় প্রতি হাজারে প্রায় ৯শ, মিয়ানমার ১শ ও ভিয়েতনামে ৩০ জনের গাড়ি আছে। মূলত আমদানিতে উচ্চ শুল্কের কারণে অন্যান্য দেশের তুলনায় গাড়ি ব্যবহারে বাংলাদেশ পিছিয়ে।

গাড়ির বাজারে সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট-পিআরআইয়ের অনলাইন সেমিনারে বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৩ হাজার গাড়ি আমদানি হলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে তা নেমে আসে চার হাজার সাতশোতে। উচ্চ শুল্কের কারণে মধ্যবিত্তরা গাড়ি কিনতে পারছে না। গাড়ি আমদানিতে বর্তমানে ১২৮ থেকে ৮২৭ ভাগ শুল্ক দিতে হয়।

সেমিনারে জানানো হয়, পরিবেশ দূষণ রোধে ২০৪০ সালের মধ্যে জ্বালানি তেলচালিত গাড়ি তৈরি বন্ধ করে ইলেকট্রিক গাড়ি প্রস্তুত করবে উন্নত বিশ্ব। যা বাংলাদেশের বাজারের জন্য সুযোগ উল্লেখ করে উৎপাদনকারীদের সহায়তার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

বর্তমানে দেশে আমদানি করা গাড়ির ৭০ ভাগই রিকন্ডিশন, নতুন ৩০ ভাগ। গাড়ি ব্যবহার বাড়ানোর জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নয়নের পরামর্শ দেন আলোচকরা।

#তমহ/বিবি/০৩-১২-২০২০

ক্যাটেগরী: গাড়িবাড়ি

ট্যাগ: গাড়িবাড়ি

গাড়িবাড়ি ডেস্ক, বিবি বৃহঃ, ডিসেম্বর ৩, ২০২০ ৪:৩৪ পূর্বাহ্ন

Comments (Total 0)