শেখ হাসিনার জন্মদিন

শেখ হাসিনার জন্মদিন

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাহাত্তর বছর পূর্ণ করলেন। শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের প্রথম সন্তান।

আজ শেখ হাসিনার জন্মদিনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলো।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও জন্মদিনে দেশের বাইরে থাকছেন শেখ হাসিনা। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে আছেন তিনি।

শেখ হাসিনার জন্মদিনের কর্মসূচির মধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটউট মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

নেত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে সারা দেশে আওয়ামী লীগের প্রতিটি ওয়ার্ড, থানা, উপজেলা, পৌরসভা, মহানগর ও জেলা ইউনিটের উদ্যোগে ৭৩টি করে গাছ লাগানোর কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়।
সারা দেশে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের দিনটি উৎসবমুখরভাবে উদযাপনের আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আনন্দ র‌্যালি বের করে ছাত্রলীগ। এছাড়া যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগসহ দলের সহযোগী সংগঠনগুলোও আনন্দ র‌্যালি, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা করে।

শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মস‌জিদসহ সারা ‌দে‌শের মসজিদে দোয়া এবং অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৬৮ সালে বিজ্ঞানী এম ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও এক মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তিন মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে দলটি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে তিন-চতুর্থাংশ আসনে বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার গঠিত হয়। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুযারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয় এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ।
ষাটের দশকে ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের শুরু। ১৯৬৬-৬৭ সালে ছাত্রলীগ থেকে ইডেন কলেজের ছাত্রী সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী থাকাকালে ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।

মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়ই শেখ হাসিনা মা, বোন শেখ রেহানা ও ছোট ভাই শেখ রাসেলের সঙ্গে ঢাকায় বন্দি ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করার সময় হাসিনা দেশে ছিলেন না। সে সময় তিনি স্বামী এম ওয়াজেদ মিয়ার জার্মানির কর্মসূত্রে বেলজিয়ামে অবস্থান করছিলেন।

এরপর দীর্ঘ সময় দেশে ফিরতে পারেননি শেখ হাসিনা। ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাসিনার অনুপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে দলীয় প্রধান নির্বাচিত করা হয়। ওই বছরের ১৭ মে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন তিনি।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং অন্য রাজনৈতিক জোট ও দলগুলো ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে জয়ী হয়। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বেই তৎকালীন বিএনপি সরকারের পতন এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিজয় অর্জন করে আওয়ামী লীগ।

#এসএস/বিবি/২৮-০৯-২০১৯

ক্যাটেগরী: জাতীয়

ট্যাগ: জাতীয়

জাতীয় ডেস্ক, বিবি শনি, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯ ৯:৫৩ অপরাহ্ন

Comments (Total 0)