প্রবৃদ্ধিতে ৩ নম্বরে বাংলাদেশ

প্রবৃদ্ধিতে ৩ নম্বরে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি চলতি বছরে বিশ্বের সব দেশের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি হবে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২০১৯ সালে  ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। বাংলাদেশের ওপরে থাকবে ডোমিনিকা ও  দক্ষিণ সুদান। 

গত সপ্তাহে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অবশ্য বাংলাদেশের জিডিপি হিসাব করা হয় অর্থবছর (জুলাই-জুন) ধরে। আইএমএফ এই পূর্বাভাস দিয়েছে পঞ্জিকাবর্ষ (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) ধরে।

এ বছর ডোমিনিকার জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। আর দক্ষিণ সুদানের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডার প্রবৃদ্ধিও বাংলাদেশের সমান হবে। তবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হতে পারে। আরও চার বছর পর, ২০২৪ সালেও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে।
আইএমএফ বলছে, চলতি বছরে বিশ্বের ৯টি দেশ ৭ বা তার বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। ওপরের দেশগুলো ছাড়া এই তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো কম্বোডিয়া, নেপাল, আইভরি কোস্ট, ইথিওপিয়া ও ঘানা। ৭ শতাংশ বা তার বেশি প্রবৃদ্ধি হতে পারে এমন দেশের তালিকায় নেই ভারত ও চীনের মতো বড় অর্থনীতির দেশ। আইএমএফ পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি বছরে তাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

বিশ্বের অধিকাংশ দেশের এ বছরের প্রবৃদ্ধি আগের বছরের চেয়ে বেশি হবে বলে মনে করছে আইএমএফ। তবে এর ব্যতিক্রমও আছে। সংস্থাটি বলছে, চলতি বছরে বিশ্বের ১২টি দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) আগের বছরের চেয়ে কমে যাবে। তার মানে, প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হবে। প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হবে এমন ১২টি দেশের তালিকায় সবচেয়ে এগিয়ে আছে ভেনেজুয়েলা। দেশটি ২০১৮ সালের চেয়ে এ বছর এক-তৃতীয়াংশ কম মূল্য সংযোজন করবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হবে ৩৫ শতাংশ। অবশ্য দেশটিতে আগের পাঁচ বছরেও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল।
*চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি ২.৫ শতাংশ হতে পারে।
*এ ছাড়া জার্মানি ও জাপানের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১ দশমিক ৯ শতাংশ ও ১ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে

আইএমএফের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পরের স্থানে আছে লিবিয়া। লিবিয়ার নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ। আগের বছরের চেয়ে দেশজ মূল্য সংযোজন কমবে ১৯ শতাংশের বেশি। তৃতীয় স্থানে থাকা ইরানের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ। নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির তালিকায় থাকা অন্য দেশগুলো হলো আর্জেন্টিনা, বার্বাডোজ, জিম্বাবুয়ে, ইকুয়েডর, নিকারাগুয়া, সুদান, অ্যাঙ্গোলা, ইকুয়টোরিয়াল গিনি ও নামিবিয়া।

এবার দেখা যাক বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলো সম্পর্কে আইএমএফ কী পূর্বাভাস দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরে প্রবৃদ্ধি আড়াই শতাংশ হতে পারে। এ ছাড়া জার্মানি ও জাপানের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে ১ দশমিক ৯ শতাংশ ও ১ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে। আগামী বছর এই তিনটি দেশের প্রবৃদ্ধি আরও কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ।

বিশ্ব অর্থনীতিতে এশিয়ার দেশগুলোই ইঞ্জিন বা চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। চলতি বছরে এশিয়ায় গড় প্রবৃদ্ধি হবে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আইএমএফ বলছে, শুল্ক আরোপ ও বহির্বিশ্বে পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় চীনের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে। তবে আগামী বছর চীনের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি আরেকটু বাড়বে। সেই সঙ্গে ভারতের প্রবৃদ্ধিও বৃদ্ধি পাবে—এমন প্রত্যাশা আইএমএফের।

#এসএস/বিবি/২০-১০-২০১৯

ক্যাটেগরী: অর্থনীতি

ট্যাগ: অর্থনীতি

অর্থনীতি ডেস্ক, বিবি রবি, অক্টোবর ২০, ২০১৯ ৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

Comments (Total 0)