ডেনিমে রপ্তানিতে গতি...

ডেনিমে রপ্তানিতে গতি...

মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে চীন-ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে এবার বাংলাদেশ। শুল্কমুক্ত বা কোটা সুবিধা না থাকলেও ডেনিমে ভর করে মার্কিন বাজারে পোশাক রপ্তানিতে চীন-ভিয়েতনামকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ। ১১ মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৩০ ভাগ।

দেশটির অ্যাপারেল দপ্তরের হিসাবে, গত বছরের ১১ মাসে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩০ শতাংশ আর আয় ৬শ ৩৬ কোটি ডলার। তবে এমন প্রবৃদ্ধিতেও অস্বস্তিতে উদ্যোক্তারা। কারণ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যেরর ওপর রয়েছে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা।


টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল অফিস অটেক্সার হিসাবে অনুযায়ী, গত বছর জানুয়ারি থেকে নভেম্বরে সাড়ে সাত হাজার কোটি ডলারের তৈরি পোশাক আমদানি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে বাংলাদেশের অংশ ৬শ ৩৬ কোটি ডলার, ভিয়েতনামের ১৩শ ২০ কোটি আর চীনের প্রায় ১৮শ কোটি ডলার।

পরিমাণে বাংলাদেশ তৃতীয় হলেও প্রবৃদ্ধিতে চীন, ভিয়েতনামের চেয়ে এগিয়ে। অটেক্সার হিসাবে, যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি প্রবৃদ্ধি গড়ে ২৫ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে আমদানির প্রবৃদ্ধি প্রায় ৩০ শতাংশ।

অটেক্সার হিসাবমতে, ১১ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ৭০ কোটি ডলারের ডেনিম পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। এতে প্রবৃদ্ধি হয় ৩৪ শতাংশ।

উদ্যোক্তারা বলছেন, চীন মার্কিন টানাপোড়েন ও অ্যাপারেল কূটনীতি উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা রাখছে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে। এছাড়া পোশাক খাতের ভাবমূর্তির উন্নতির কারণে রপ্তানি বাড়ছে বলে মত তাদের।

বিজিএমইএ পরিচালক, আব্দুল্লাহিল রাকিব এ বিষয়ে বলতে গিয়ে উল্লেখ করেন এ্যান্টি চায়না থিওরির কথা। যার ফলে মার্কিন বাজারে চায়নার বাইরেও পোশাক উৎসের চাহিদা বাড়ছে বলে তার মতামত।

বিজিএমইএর অন্য পরিচালক আসিফ আশরাফ জানিয়েছেন, বর্তমান বোর্ড অ্যাপারেল ডিপ্লোম্যাসি নামে একটি কর্মসূচি চালু করেছে। যার মাধ্যমে তারা আরো ব্যবসা বৃদ্ধির কথা চিন্তা করছেন।

২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিক। তবে এই ধারাবাহিকতা রক্ষা নিয়ে শঙ্কায় উদ্যোক্তারা।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা সুবিধা পেলে সেদেশে রপ্তানি আরো বাড়ানো সম্ভব। এজন্য জোরালো উদ্যোগ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

#তমহ/বিবি/০৯-০২-২০২২

ক্যাটেগরী: ব্যবসা

ট্যাগ: ব্যবসা

ব্যবসা ডেস্ক, বিবি মঙ্গল, ফেব্রুয়ারী ৮, ২০২২ ১১:৫১ অপরাহ্ন

Comments (Total 0)