চলতি বছর কোরবানির পশুর দাম ছিলো চড়া। তবু জমেছিলো হাট। কিন্তু জমেনি চামড়ার বাজার। কারণ চামড়ার দর এবারও কম ছিলো।
ধর্মীয় আবেগ যেমন ছিলো, তেমনি ছিলো উৎসবের আমেজ। সবমিলে ঈদুল আজহা এসেছিলো ত্যাগ ও আনন্দের দুই রকম অনুভূতি নিয়ে। কোরবানির পশুর হাট থেকে পশু কেনা, দেখভালের পর কোরবানি করা- এর সবই ছিলো ঈদের দিনে। তবে চামড়ার বাজারে এবারো ভাটার ভাব ছিলো। চামড়ার দাম ছিলো অনেক কম।
ঈদের দিন দুপুরের পর পরই ট্রাক-ভ্যানে রাজধানীর নানা জায়গা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া আসে পুরান ঢাকার পোস্তায়। ভালো মুনাফার জন্য এক আড়ত থেকে আরেক আড়তে গিয়ে চলে মোসুমি ব্যবসায়ীদের দর কষাকষি।
লবণ দেয়া গরুর চামড়া ৪৭-৫২ টাকা বর্গফুট ঢাকায়, আর এর বাইরে ৪০-৪৪ টাকা বেধে দিয়েছে সরকার। তবে পোস্তায় লবণ ছাড়া গরুর চামড়া আকার ও মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৩শ থেকে ১০৫০ টাকা পিস হিসেবে।
আর ঈদের দ্বিতীয় দিনে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে বড় গরুর চামড়া। আর ছাগলে ৫ ফুটের নিচের চামড়া কেনেননি আড়তদারেরা।
পোস্তায় এবার গরুর চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ পিস। যার আশি ভাগ পূরণ হয়েছে।
আড়তদারেরা বলছেন, এবার স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণ হওয়ায় সরবরাহ কম। তবে সরবরাহ সংকট থাকলেও পোস্তায় চামড়ার দাম তেমন বাড়েনি, বলছে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা।
#তমহ/বিবি/১২-০৭-২০২২
Comments (Total 0)