পিপলস লিজিংয়ের টাকা জনগণের। চোর-বাটপারদের নয়। ঋণের টাকা ফেরত না দিলে খেলাপিদের জেলে যেতে হবে। এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে হাইকোর্ট। ২৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার হাইকোর্ট আরো বলেন, মন্ত্রী-এমপি বা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ঋণখেলাপিদের কেউ পার পাবে না।
এদিকে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ১৩৭ জন ঋণখেলাপির আদালতে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও এসেছেন মাত্র ৪১ জন। হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চের বিচারক মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার একে একে তাদের বক্তব্য শোনেন।
২৮৪ কোটি টাকা খেলাপির বক্তব্য শুনে আদালত তাকে প্রথম কিস্তিতে পৌনে পাঁচ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সব টাকা ফেরত দিতে বলেন। অন্য এক ঋণখেলাপির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত বলেন, পিপলস লিজিংয়ে টাকা জমা রেখে, এখন অনেকেই না খেয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।
আদালতে হাজির হয়ে পিপলস লিজিংর সাবেক এক কর্মকর্তা দাবি করেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে ঋণখেলাপির তালিকায় জড়ানো হয়েছে।
হাজির না হওয়া ঋণখেলাপিরা ৯ মার্চের মধ্যে হাজির না হলে গ্রেপ্তারি পরোয়ারা জারি হতে পারে- এটা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী। তিনি আরো জানান, আদালতের নির্দেশে ঋণখেলাপিরা কিস্তি দেয়া শুরু করলে শিগগিরই ভুক্তভোগীরা কিছুটা হলেও আমানত ফেরত পাবে।
#তমহ/বিবি/২৫-০২-২০২১
Comments (Total 0)