এগিয়ে বাংলাদেশ, পিছিয়ে ভারত

এগিয়ে বাংলাদেশ, পিছিয়ে ভারত

পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে আগেই। এবার ভারতকেও পেছনে ফেলে দিচ্ছে বাংলাদেশ। সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক সূচক থেকে মিলছে এই চিত্র। দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের মধ্যেই শীর্ষে থাকছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

বৈশ্বিক ক্ষুধার সূচকেও বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছে ভারত। ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার ইনডেক্স বা বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ সব প্রতিবেশী দেশের থেকে নীচে নেমে গেছে ভারত। ভারতের নীচে আছে মূলত আফ্রিকার হতদরিদ্র দেশগুলি, ক্ষুধা যাদের নিত্যসঙ্গী। ২০২০ সালের এই সূচকে দেশটির অবস্থান ১০৭টি দেশের মধ্যে ৯৪তম। বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ভারতের চেয়েও ভালো অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ এশীয় দেশ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও নেপাল।

এই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৮৮তম। এই সূচকে শুধু বাংলাদেশ নয় নেপাল ও পাকিস্তানেরও পেছনে আছে ভারত। এতে ভারত ১০২ ও পাকিস্তান ৯৪তম অবস্থানে আছে।

আয়ে যেভাবে সেরা: স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতির যাত্রা শুরু ১৯৭২ সালে। সে সময়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ১২০ ডলার আর পাকিস্তানের ছিল ১৮০ ডলার। অর্থাৎ পাকিস্তানের অবস্থান ছিল বাংলাদেশের উপরে। আর এখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার। আর পাকিস্তানের ১ হাজার ২৮৫ ডলার।

এদিকে পাঁচ বছর আগেও ভারতের মাথাপিছু জিডিপি বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে নোট বাতিল, নতুন কর কাঠামোসহ বেশকিছু কারণে টালমাটাল দেশটির অর্থনীতি। সবশেষ করোনার ধাক্কায় আরো পিছিয়েছে। আগে প্রতিবেশী এ দেশ থেকে বেশ কিছু সূচকে পিছিয়ে থাকলেও এবার ভারতকে ছাড়িয়ে যাবার বড় সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনের আভাস এ বছর ভারতের মাথাপিছু জিডিপি সাড়ে ১০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮৭৭ ডলারে নেমে আসতে পারে যা গত চার বছরে সর্বনিম্ন।

আর একই সময়ে ডলারের হিসেবে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি প্রায় ৪ ভাগ বৃদ্ধি পেয়ে হবে এক হাজার ৮৮৮ ডলার। সে হিসেবে জিডিপিতে প্রতিবেশী দেশ ভারতকে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ছাড়িয়ে যাবে বলছে আইএমএফ।

মূলত করোনা মহামারির কারণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতের অর্থনীতি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছে আইএমএফ। সে তুলনায় করোনার ক্ষতি মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কারণে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হবে বাংলাদেশের। এ অঞ্চলে বাংলাদেশের পরই জিডিপিতে এগিয়ে থাকবে ভুটান,শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ।

জনপ্রতি জিডিপি ও ক্ষুধা সূচক শুধু নয়, সামাজিক অনেক সূচকেও বাংলাদেশের পেছনে আছে ভারত। বিশ্বব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে নবজাতক মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২৭। ভারতে এই হার ৩২। বাংলাদেশে প্রত্যাশিত গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৫৮ বছর যেখানে ভারতের গড় আয়ু ৬৮ দশমিক ৮ বছর।

#এসকেএস/বিবি/২৮-১০-২০২০

ক্যাটেগরী: অর্থনীতি

ট্যাগ: অর্থনীতি

অর্থনীতি ডেস্ক, বিবি বুধ, অক্টোবর ২৮, ২০২০ ৫:৩৭ পূর্বাহ্ন

Comments (Total 0)