করোনায় আবার মন্দা ঈদ!
করোনাভাইরাসে এবারো ঈদকেন্দ্রিক ব্যবসা ধাক্কা খেয়েছে। বেচাবিক্রি নিয়ে ব্যবসায়ীরা হতাশ। পোশাক, জুতা, খাবারসহ নিত্যপণ্যের চাহিদা থাকলেও ইলেকট্রনিক্স, আসবাবপত্রের মতো বিলাসী পণ্যের ব্যবসায় ততটা সাড়া মেলেনি।
দোকান মালিক সমিতির দাবি, এই ঈদে বেচাকেনা পাঁচ হাজার কোটি টাকাও ছাড়ায়নি। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, লেনদেন কম হলেও এবারের কেনাকাটা অনেক উদ্যোক্তার পথে বসে যাওয়া ঠেকাবে।
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত ২৫ এপ্রিল খুলে দেয়া হয় দোকানপাট, শপিং মল। সব মিলিয়ে ঈদের লেনদেন হয় ১৯ দিন।শেষ মুহুর্তে বড় শপিং মল, বুটিক হাউস ও ফুটপাতে দেখা যায় ক্রেতার উপচে পড়া ভিড়। তবে নন ব্র্যান্ডের দোকানগুলো ছিল তুলনামূলক ফাঁকা। ঢাকার বাইরে বড় শহর, জেলা উপজেলা, গ্রামে গঞ্জেও ছিল ঈদ কেনাকাটার আমেজ।
ফ্যাশন হাউসগুলো বলছে, এবারের ঈদে তাদের বিক্রি দুই থেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা হতে পারে। জুতা বিক্রি হতে পারে হাজার কোটি টাকার বেশি। এছাড়া দুধ, সেমাই, চিনির মতো নিত্যপণ্যের চাহিদাও কম ছিল। তেমন চাহিদা ছিল না প্রসাধনীর।
ঈদে মোবাইল, টেলিভিশন, ফ্রিজের মত ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বিক্রিও বাড়ে। কিন্তু করোনার অনিশ্চয়তায় মানুষ বিলাসী পণ্যে তেমন আগ্রহ দেখায়নি। সাড়া নেই স্বর্ণের বেচাকেনায়। একই অবস্থা আসবাবপত্রের বাজারেও। আর পরিবহন ও পর্যটন দুটোই বন্ধ।
তবে উৎসবের এই অর্থনীতিতে খানিকটা চাঙ্গাভাব এনেছে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয়। মোবাইল ব্যাংকিংয়েও লেনদেন ছাড়িয়েছে প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা। ঈদ শেষে আবার স্বাভাবিক ব্যবসায় ফেরা নিয়েও উদ্বেগে আছেন ব্যবসায়ীরা।
#তমহ/বিবি/১৫ ০৫ ২০২১
Share with others:
Recent Posts
Recently published articles!
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ব্যবসা ডেস্ক, বিবি
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
ভূমি ডেস্ক, বিবি
-
প্রবাস ডেস্ক, বিবি