বিশ্ববাসীর কাছে মারাত্মক মারণাস্ত্র পরমাণু বোমা বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ১৯৪৫ সালের অগাস্টে তিন দিনের ব্যবধানে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পরমাণু বোমা বর্ষণ করে যুক্তরাষ্ট্র।
দুই শহরে মুহূর্তে এক লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়। যেন কোনো জাদুবলে হঠাৎ করেই অতগুলো মানুষ হাওয়ায় উবে গিয়েছিল। তীব্র তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে পরের কয়েকমাসে আরো প্রায় চার লাখ মানুষ প্রাণ হারায়।দশকের পর দশক ধরে শহর দুইটি ওই ক্ষত বুকে বয়ে বেড়াচ্ছে।
রোববার পোপ হিরোশিমা ও নাগাসাকির গ্রাউন্ড জিরোতে পিস মেমোরিয়াল পরিদর্শন করেন এবং নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। হিরোশিয়ায় তিনি বলেন, “এখানে প্রচণ্ড বজ্রপাত ও আগুনের অসম্ভব তীব্র হল্কায় অনেক পুরুষ ও নারী, অনেক স্বপ্ন ও আশা এক লহমায় অদৃশ্য হয়ে গেছে এবং পেছনে শুধুমাত্র ছায়া আর নিস্তব্ধতা রেখে গেছে।
“আমি অন্তরের গভীর থেকে আরো একবার এই আশা রাখি, পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার মানবজাতির সম্মানের বিরুদ্ধে অপরাধ বলে ঘোষিত হবে। শুধু তাই নয়, এটা ভবিষ্যতে আমাদের এক হওয়ার সম্ভাবনার বিরুদ্ধেও।
“যুদ্ধে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কাপুরুষোচিত, আর সেটা হলে পরমাণু অস্ত্র তৈরি এবং মজুদ করাও কাপুরুষোচিত। দুই বছর আগে থেকে আমি এ কথা বলে আসছি।” তার আগে নাগাসাকিতে আরো তীব্র ভাষায় কথা বলেন পোপ। সেখানে তিনি ২০১৭ সালে হওয়া পরমাণু অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা চুক্তির প্রতি সমর্থন জানান।
জাতিসংঘের সদস্য প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ দেশ ওই চুক্তিতে সাক্ষর করেছে। কিন্তু চুকিতর বাস্তবায়ন নেই।
#এসএস/বিবি/২৫-১১-২০১৯
Comments (Total 0)