‘মহামারীর চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে’

‘মহামারীর চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে’

সব খাতের মতো কভিড-নাইন্টিন মহামারী ব্যাংকিংখাতেও নানা চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এগুলো মোকাবিলা করতে হবে। চ্যালেঞ্জ উত্তরণে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। এই আহ্বান জানিয়েছেন সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার।

১৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির ৩৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) স্বাগত ভাষণ দেন তিনি। এসময়ে ব্যাংকের সম্ভাবনাময় বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন তিনি। করোনাভাইরাসের কারণে এবার সিটি ব্যাংকের এজিএম অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে। এতে সভাপতি ছিলেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার।

আয়োজনে অংশ নেন সিটি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হোসেন খালেদ; পরিচালনা পর্ষদের তাবাসসুম কায়সার, হোসেন মেহমুদ, রফিকুল ইসলাম খান, সৈয়দা শায়রীন আজিজ, সাভেরা এইচ মাহমুদ। আরো ছিলেন ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক ফারুক সোবহান ও ড. সেলিম মাহমুদ। ছিলেন সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাসরুর আরেফিন ও অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মারুফ।

ভার্চুয়াল এই আয়োজনে আরো অংশ নেন সিটি ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডাররা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৯ অনুযায়ী ব্যাংকের নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক বিবরণী সভায় উপস্থাপন করা হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ব্যাংকের কার্যক্রমের উপর আলোচনা করেন। সিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান আজিজ আল কায়সার সভায় জানান, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকের মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫,৪৬৮.৯০ কোটি টাকা। যা আগের বছরে ছিলেো ৩২,৪৭৮.০৩ কোটি টাকা।

যার প্রবৃদ্ধি ২,৯৯০.৮৭ কোটি টাকা অর্থাৎ ৯.২১ শতাংশ। ২০১৯ সালে ব্যাংক থেকে দেয়া ঋণের পরিমাণ ২৪,৬৯৪.৩৭ কোটি টাকা। যা আগের বছরে ছিলো ২৩,১৩৯.১৫ কোটি টাকা। যার প্রবৃদ্ধির হার ১,৫৫৫.২২ কোটি টাকা অর্থাৎ ৬.৭২ শতাংশ। ২০১৯ সালে ব্যাংকের আমানত ৪,১৫৩.৩৫ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪,৬৭০.৩৭ কোটি টাকা। যা আগের বছরে ছিল ২০,৫১৭.০২ টাকা। যার প্রবৃদ্ধির হার ২০.২৪ শতাংশ। সিটি ব্যাংক ২০১৯ সালে ট্যাক্স পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করে ২৪৭.১৬ কোটি টাকা। যা আগের বছরে ছিলো ২০১.৭৯ কোটি টাকা। এখানে প্রবৃদ্ধি ৪৫.৩৭ কোটি টাকা অর্থাৎ ২২.৪৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ২.৪৩ টাকা।

যা আগের বছরে ছিল ১.৯৯ টাকা। সভায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মাসরুর আরেফিন ব্যাংকের কর্মকাণ্ডের সার্বিক চিত্র শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তুলে ধরেন। ব্যাংকের প্রতি শেয়ারহোল্ডারদের দীর্ঘদিনের আস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান। একই সঙ্গে তিনি সার্বক্ষণিক সহায়তা ও দিকনির্দেশনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ সব নিয়ন্ত্রণ সংস্থা এবং ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

৩৭তম ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম বার্ষিক সভায় পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক সুপারিশকৃত ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপিত হলে তা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত ও অনুমোদিত হয়।

বিবি/টিএমএইচ/১৪-০৮-২০২০

ক্যাটেগরী: ব্যাংক

ট্যাগ: ব্যাংক

ব্যাংক ডেস্ক, বিবি শুক্র, আগষ্ট ১৪, ২০২০ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন

Comments (Total 0)