দূষণে দূষণে প্রাণঘাতী বাংলাদেশের বাতাস

দূষণে দূষণে প্রাণঘাতী বাংলাদেশের বাতাস

রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণের বড় কারণ ধুলা। বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার সঙ্গে মিলেছে ক্ষতিকর গ্যাসের উপস্থিতি। তবে ২০২১ সালে একটি দেশও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নির্ধারিত বায়ুর মান বজায় রাখতে পারেনি। এক্ষেত্রে দূষণের মাত্রায় সবার উপরে বাংলাদেশের নাম। অন্য এক গবেষণা বলছে, এ কারণে শ্বাস প্রশ্বাস ও হৃদরোগে মৃত্যুর হারে বিশ্বে শীর্ষ দশের মধ্যে এখন বাংলাদেশ।

দিনরাত ধুলায় আচ্ছন্ন রাজধানীর তেজগাঁও। মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন নিতে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে একমাস ধরে। পাশেই ফেলে রাখা হয়েছে বালু, নির্মাণ সমাগ্রী। শিল্প এলাকা বলে রাত পর্যন্ত থাকে গাড়ির চাপ।

রাজধানীসহ আশপাশের এলাকার ৪০ পয়েন্টে বায়ুর মান যাচাই করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের গবেষক দল। তারা বলছেন, তেজগাঁও, গাবতলী, উত্তরা, উত্তরখান ও ঢাকার বাইরে টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।

সেসব জায়গায় নির্মাণকাজের ধুলার সঙ্গে যোগ হচ্ছে শিল্পকারখানার কার্বন, সিলিকনসহ রাসায়নিক। বাতাসকে করেছে প্রাণঘাতী। দূষণজনিত মৃত্যুর বেশিরভাগ হয়েছে দূষণের কারণে সংক্রামক নয় এমন রোগে, যার মধ্যে রয়েছে হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং ফুসফুসের ক্যান্সার।

বিজ্ঞান সাময়িকী 'ফিজিকস অ্যান্ড কেমিস্ট্রি অব দ্য আর্থের' দেয়া তথ্য বলছে, এত দিন উদ্বেগ ছিল অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা পিএম টু পয়েন্ট ফাইভ ও পিএম টেনের পরিমাণ বাড়ায়, এখন এর সঙ্গে কলকারখানার গ্যাস বাতাসকে করছে আরো বিষাক্ত। এতে শ্বাস প্রশ্বাস ও হৃদরোগে মৃত্যুর হারে বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে আছে বাংলাদেশ। বায়ু দূষণে বেড়েছে বজ্রপাতও।

বায়ু দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় গলা ও ফুঁসফুঁসে। তাই বাইরে বেরুতে মাস্ক পরায় জোর দিচ্ছেন স্বাস্থ্য গবেষকেরা।

গবেষকেরা আরো বলেছেন অপেক্ষাকৃত দরিদ্র দেশগুলোতে দূষণে মৃত্যুর হার বেশি এবং ধনী দেশগুলোর দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হচ্ছে।

#তমহ/বিবি/১৩ ০৩ ২০২২


জাতীয় ডেস্ক, বিবি
Published at: মঙ্গল, মার্চ ২২, ২০২২ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন
Share with others:

Recent Posts

Recently published articles!