সাপের বিষ পাচারের রুট?

সাপের বিষ পাচারের রুট?

বাংলাদেশ হয়ে বিশ্বের দেশ হতে দেশে সাপের বিষ পাচার হচ্ছে। চোরাই চক্র এভাবে রুটি হিসেবে নিয়েছে এই দেশকে। ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সিআইডি রাজধানী ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য দেয়। তারা জানায়, ফ্রান্স থেকে চোরাই পথে গাজীপুরে এনে মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়াসহ বেশ কিছু দেশে পাচার করা হয় সাপের বিষ। এমন একটি আন্তর্জাতিক চক্র বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। সাপের বিষ কেনাবেচা নিষিদ্ধ হলেও দেশে দীর্ঘদিন ধরে তৎপর এমন একাধিক চক্র। গাজিপুরে ৬ কেজি সাপের বিষসহ একটি চক্রের ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাপের বিষ কেনাবেচার করে একটি আর্ন্তজাতিক চক্র। গাজিপুরের বাসনে তারা এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঘাটি গেড়েছে। এমন তথ্যে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে একজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। বিদেশে অবাধে সাপের বিষ পাচারের বিষয়ে এক মাস তদন্তের পর সামনে আসে চক্রের মূলহোত মামুন তালুকদার ও তার সহযোগী মো. মামুনের নাম।
২৫ নভেম্বর বুধবার গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় ওই দুজনকে। উদ্ধার করা হয় ২টি লকার। যেখানে মেলে সুদৃশ্য কাঁচের কৌটায় সংরক্ষিত ৬ কেজি সাপের বিষ।
সিআইডির ঢাকা মেট্রো নর্থের এডিশনাল ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার জানান, গ্রেপ্তার তিনজনসহ চক্রটিতে কাজ করে ৭-৮ জন। মালয়েশিয়া-ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে তাদের কাছে সাপের বিষের চাহিদা আসে। অগ্রীম অর্থও দেয়া হয় তাদের। পরবর্তীতে ফ্র্যান্সসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এগুলো চোরাই পথে দেশে আনা হয়। পরে বড় অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পাচার করা হয় বিভিন্ন দেশে।
তিনি আরো জানান, এই চক্রটি এর আগেও এমন একাধিক চালান পাচার করেছে। যারা গ্রেপ্তার হয়েছে তারা বিষ পাচারকে পেশা হিসেবেই নিয়েছে বলে জানা গেছে। চক্রটির আরো ৪ থেকে ৫ সদস্য এখনো পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। দ্রুতই সফলতা আসবে বলে তিনি মনে করছেন।
তমহ/বিবি/২৭-১১-২০২০

ক্যাটেগরী: অনুসন্ধানী

ট্যাগ: অনুসন্ধানী

অনুসন্ধানী ডেস্ক, বিবি শুক্র, নভেম্বর ২৭, ২০২০ ৯:০৪ পূর্বাহ্ন

Comments (Total 0)