হলিউডের দর্শক চীনে কতটা আছে?
আমেরিকান চলচ্চিত্র মুক্তি পায় চীনেও। সেখানে কেমন চলছে হলিউডের কাহিনি চিত্র?
১৯৯৪ সালে ‘দ্য ফিউজিটিভ’ নামে মুভিটি চীনে আমদানি করা প্রথম আমেরিকান চলচ্চিত্র হিসেবে চীনা দর্শকদের এবং চীনা চলচ্চিত্র শিল্পকে হতবাক করেছিল, যা চীনা বাজারে হলিউডের ভাল সময়ের সূত্রপাত করে। পরবর্তী বছরগুলোতে, ‘ট্রু লাইজ’, ‘টাইটানিক’ এবং ‘ট্রান্সফরমারস’সহ অনেক হলিউডি চলচ্চিত্র একবার চীনের বার্ষিক বক্স অফিস তালিকার অর্ধেক ছিল। একটি সিনেমা সহজেই বক্স অফিসে কয়েক মিলিয়ন বা এমনকি বিলিয়ন ইউয়ান আয় করতে পারে, যা চীনকে হলিউডের বৃহত্তম বিদেশী বাজার করে তোলে। ২০১৯ সালে, ‘অ্যাভেঞ্জার্স-৪’ চীনে ৪.২ বিলিয়ন ইউয়ানের বেশি বক্স অফিস আয়ের মধ্য দিয়ে হলিউডি চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ রেকর্ড স্থাপন করে।
যাহোক, ২০২৩ সালে প্রবেশের পর হলিউড অবাক হয়ে দেখে যে, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চলচ্চিত্র বাজার হিসেবে চীনে হলিউডের সমৃদ্ধি থেকে পতনের গতি কল্পনার চেয়ে আরো দ্রুত হয়েছে। ২০২৩ সালে চীনের বক্স অফিস তালিকার শীর্ষ দশে একটিও হলিউডি চলচ্চিত্র নেই। মার্কিন গণমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ি, চীনের বক্স অফিসে হলিউডি চলচ্চিত্রের শেয়ার ২০২৩ সালে প্রায় ১২ শতাংশে নেমে গেছে। ২০২৪ সাল থেকে চীনের বক্স অফিসের সেরা দশটির মধ্যে শুধুমাত্র একটি ‘গডজিলা বনাম কং ২: রাইজ অফ অ্যান এম্পায়ার’ বর্তমানে অষ্টম স্থানে রয়েছে।
চীনা বাজারে প্রবেশের ৩০ বছরে তুমুল সেই জনপ্রিয়তা এখন অদৃশ্য হয়ে গেছে। আমেরিকান গণমাধ্যম এবং পেশাদার বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল হলিউডে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুনত্ব এবং অগ্রগতির অভাব রয়েছে এবং এর চলচ্চিত্রগুলোতে দর্শকেরা বিরক্তি বোধ করছেন।
বছরের পর বছর ধরে হলিউডের চলচ্চিত্রগুলো ফর্মুল্যাক এবং ম্যাট্রিওশকা-এর মতো আইপি ডেভেলপমেন্টে আচ্ছন্ন হয়েছে এবং উদ্ভাবনী জীবনীশক্তি এবং কল্পনার সাথে মূল চলচ্চিত্রগুলোর একটি গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। ২০২৩ সালে চীনে প্রবেশকারী হলিউডি চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস ১০’ বক্স অফিসের সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিং, ১২তম স্থান লাভ করে। সেইসাথে ‘অবতার: জলের পথ’, ‘ট্রান্সফরমারস: রাইজ অফ দ্য সুপার ওয়ারিয়র্স’ এবং ‘গার্ডিয়ানস অফ দ্য গার্ডিয়ানস ভলিউম ৩’ চীনের বক্স অফিস র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ৩০টিতে ছিলো। ২০২৪ সালে চীনে প্রবেশ করা চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘গডজিলা বনাম কং ২: রাইজ অফ এন এম্পায়ার’, ‘ডেডপোল অ্যান্ড ওয়ালভেরিনে’, ‘ডেস্পিক্যাপল মি’ ইত্যাদি। এসব চলচ্চিত্র মোটামুটিভাবে সিক্যুয়াল হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে, যা দিয়ে দর্শকদের সতেজতা এবং উত্সাহকে উদ্দীপিত করা কঠিন। [চায়না রেডিও বাংলা অবলম্বনে]
#তমহ/বিবি/২০সেপ্টেম্বর২০২৪
Share with others:
Recent Posts
Recently published articles!
-
ব্যাংক ডেস্ক, বিবি
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
অর্থনীতি ডেস্ক, বিবি
-
শেয়ারবাজার ডেস্ক, বিবি
-
জাতীয় ডেস্ক, বিবি