বিদায়, ফুটবল ঈশ্বর...

বিদায়, ফুটবল ঈশ্বর...

বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি তিনি। অমরতা পেয়েছেন ইশ্বরের হাতে। তাই দৈহিক বিদায়ের যে খবর এসেছে দিয়েগো আরমান্দো মারাদোনার, তা আদতে অবিনশ্বরতার দিকে যাত্রা। আর্জেন্টাইন জাদুকর যুগ যুগ বেঁচে থাকবেন ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে।

বয়স মাত্র ৬০: মারাদোনার মৃত্যুর খবর দিচ্ছে সব গণমাধ্যম। এ নিয়ে বিবিসি লিখেছে, ২৫ নভেম্বর বুধবার ৬০ বছর বয়সে মারা গেছেন মারাদোনা। তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বলা হচ্ছে বুয়েনাস আয়ার্সে তার বাসভবনে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
আর্জেন্টিনার সাবেক এই ফুটবল মিডফিল্ডার এবং ম্যানেজার ম্যারাডোনার মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে এ মাসের গোড়ার দিকে তার মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার হয়েছিল। বলা হয়েছিল তার অ্যালকোহল নির্ভরতার জন্য তার চিকিৎসা শুরু করা হবে।
বাসস লিখেছে, কয়েক সপ্তাহ আগে মারাদোনা মস্তিষ্কে অস্ত্রোপাচার করানো হয়েছিল। ওই সময় তার মস্তিষ্ক থেকে রক্তপিন্ড অপসারণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। চিকিৎসা শেষে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়েছিলেন। ছাড়া পাবার দুই সপ্তাহ পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন এই ফুটবল কিংবদন্তি।

একনজরে: দিয়েগো মারাদোনার জীবন নিয়ে ইউএনবি লিখেছে, আর্জেন্টাইন ক্লাব বোকা জুনিয়র্স থেকে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। এরপর সোনালি যুগের ক্লাব নাপোলি হয়ে খেলেছেন বার্সেলোনার জার্সিতেও। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ শিরোপা জিতিয়েছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১ খেলায় ৩৪ গোল করা ম্যারাডোনাকে সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবে গন্য করেন অনেক বিশেষজ্ঞ, ফুটবল সমালোচক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ফুটবল সমর্থকরা। ম্যারাডোনাই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দু’বার স্থানান্তর ফি’র ক্ষেত্র বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। প্রথমবার বার্সেলোনায় স্থানান্তরের সময় পাঁচ মিলিয়ন ইউরো এবং দ্বিতীয়বার নাপোলিতে স্থানান্তরের সময় ৬.৯ মিলিয়ন ইউরো।চারটি ফিফা বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন ম্যারাডোনা। যার মধ্যে ছিল ১৯৮৬ বিশ্বকাপ, যেখানে তিনি আর্জেন্টিনা দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন এবং দলকে বিশ্বকাপ জয়ে নেতৃত্ব দেন। ওই প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ২–১ গোলে জয় লাভ করে।
আর্জেন্টিনার পক্ষে দুটি গোলই করেছিলেন ম্যারাডোনা এবং ওই দুটি গোলই ফুটবল ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে ভিন্ন ভিন্ন কারণে। প্রথম গোলটি ছিল হ্যান্ডবল যা ‘হ্যান্ড অব গড’ নামে খ্যাত। দ্বিতীয় গোলটি তিনি প্রায় ৬০ মিটার দূর থেকে ড্রিবলিং করে পাঁচ ব্রিটিশ ডিফেন্ডারকে পাশ কাটিয়ে করেন। ২০০২ সালে ফিফাডটকমের ভোটাররা গোলটিকে শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে নির্বাচিত করেন।
২০০৮ সালের নভেম্বরে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব নেন। ২০১০ বিশ্বকাপে বাজেভাবে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। ফুটবলার হিসেবে দুর্দান্ত হলেও কোচ হিসেবে ছিলেন ব্যর্থ। শেষদিকে এসে দ্বিতীয় সারির ক্লাবেরও দায়িত্ব পালন করেন ফুটবলের মহানায়ক ডিয়েগো ম্যারাডোনা।
#তমহ/বিবি/২৬ ১১ ২০২০


খেলা ডেস্ক, বিবি
Published at: মঙ্গল, নভেম্বর ২৪, ২০২০ ১১:০৮ অপরাহ্ন
Category: খেলা
Share with others:
ad

Recent Posts

Recently published articles!